জৈব সার তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো মূলত প্রাকৃতিক এবং জৈব উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই উপাদানগুলো পচনশীল এবং মাটির উর্বরতা বাড়াতে কার্যকর। জৈব সার তৈরির জন্য নিচের উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়:
১. সবজির খোসা ও রান্নার উচ্ছিষ্ট:
-
পচনশীল সবজির খোসা, ফলের খোসা, চায়ের পাতা, ডিমের খোসা ইত্যাদি।
২. পশুর বিষ্ঠা:
-
গরু, ছাগল, মুরগি বা হাঁসের বিষ্ঠা, যা নাইট্রোজেন ও অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে।
৩. শুকনো পাতা ও ঝরা পাতা:
-
গাছের শুকনো পাতা, ঘাস এবং অন্যান্য ঝরা জৈব উপাদান।
৪. খড় ও কাঠের গুঁড়ো:
-
খড়, কাঠের গুঁড়ো এবং নারকেলের ছোবড়ার মতো উপাদান কার্বনের উৎস হিসেবে কাজ করে।
৫. কেঁচো (যদি ভার্মিকম্পোস্ট করা হয়):
-
কেঁচো জৈব পদার্থকে দ্রুত সার বানাতে সহায়তা করে।
৬. পানি:
-
জৈব উপাদানগুলো পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা।
৭. ছাই:
-
রান্নার কাজে ব্যবহৃত কাঠের ছাই বা নারকেলের ছোবড়ার ছাই পটাশিয়ামের উৎস।
৮. ফসলের উচ্ছিষ্ট:
-
ধান, গম বা অন্য ফসল কাটার পর যে খড়, খোসা বা ডাঁটা পড়ে থাকে।
৯. শুকনো ও ভেজা উপাদানের ভারসাম্য:
-
শুকনো উপাদান (পাতা, খড়) এবং ভেজা উপাদান (ফলের খোসা, সবজির উচ্ছিষ্ট) সঠিক অনুপাতে মিশ্রণ করলে পচন ভালো হয়।
১০. মাটি বা পুরোনো কম্পোস্ট:
-
ব্যাকটেরিয়া ও মাইক্রোঅর্গানিজম যোগ করার জন্য সামান্য মাটি বা পুরোনো কম্পোস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
জৈব সার তৈরির জন্য এসব উপাদান স্তরে স্তরে সাজিয়ে, নিয়মিত নেড়ে এবং পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রেখে পচানো হয়। সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে এই উপাদানগুলো জৈব সারে রূপান্তরিত হয়।