ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
36 বার দেখা হয়েছে
"সাধারন জ্ঞান" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ হল মহাকর্ষীয় তরঙ্গ, যা মহাবিশ্বের বিশাল ভর বিশিষ্ট বস্তুগুলির দ্রুত গতির কারণে সৃষ্টি হয়। যখন দুটি বিশাল ভর বিশিষ্ট বস্তু (যেমন, ব্ল্যাক হোল বা নিউট্রন স্টার) একে অপরের চারপাশে ঘোরে এবং একত্রিত হয়, তখন মহাকর্ষীয় শক্তির তরঙ্গ মহাশূন্যে প্রচারিত হয়। এই তরঙ্গগুলি মহাশূন্যের মাধ্যমে আলোর গতিতে প্রচারিত হয় এবং সময়-স্থানকে বিবর্তিত করে।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিশাল ভর বিশিষ্ট বস্তুগুলির গতি, সংঘর্ষ এবং অন্যান্য ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যা আগে কেবল তত্ত্বগত ছিল।

২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দেয়। এই আবিষ্কারের জন্য ২০১৭ সালে নোবেল পুরস্কারও প্রদান করা হয়।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ (Gravitational Wave) হলো স্থান-কালের (Space-time) মধ্যে সৃষ্ট তরঙ্গ। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুসারে, যখন কোনো বিশাল বস্তুর ত্বরণ হয়, তখন স্থান-কালের মধ্যে যে বক্রতা সৃষ্টি হয়, তা তরঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই তরঙ্গই হলো গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ।

সহজ ভাষায়, যখন মহাবিশ্বের কোনো বিশাল বস্তু, যেমন - ব্ল্যাক হোল (Black hole), নিউট্রন তারা (Neutron star) বা সুপারনোভা (Supernova) বিস্ফোরিত হয়, তখন স্থান-কালের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই আলোড়ন ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, অনেকটা পুকুরে ঢিল ছুড়লে যেমন তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। এই ঢেউগুলোই হলো গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ এর বৈশিষ্ট্য:

 * এরা আলোর গতিতে স্থান-কালের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

 * এরা স্থান-কালকে সংকুচিত এবং প্রসারিত করতে পারে।

 * এরা খুবই দুর্বল তরঙ্গ, তাই এদের শনাক্ত করা খুব কঠিন।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ এর উৎস:

 * ব্ল্যাক হোল এর সংঘর্ষ।

 * নিউট্রন তারার সংঘর্ষ।

 * সুপারনোভা বিস্ফোরণ।

 * মহাবিশ্বের শুরুতে সৃষ্ট হওয়া তরঙ্গ (Primordial gravitational waves)।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ এর গুরুত্ব:

 * এরা মহাবিশ্বের অনেক রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করে।

 * এরা ব্ল্যাক হোল এবং নিউট্রন তারার মতো চরম বস্তু সম্পর্কে তথ্য দেয়।

 * এরা মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ এর আবিষ্কার:

২০১৫ সালে লাইগো (LIGO) নামক একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রথমবারের মতো গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ তারা শনাক্ত করে। এই আবিষ্কারটি পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ শনাক্ত করার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের এমন অনেক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন যা আগে সম্ভব ছিল না। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
3 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 3 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 26752
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51899094
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...