মোবাইল ফোনের RAM (র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি) এবং স্টোরেজ দুটি ভিন্ন জিনিস এবং এদের কাজও আলাদা। এই দুটি কম্পোনেন্ট ফোনের পারফরমেন্সের উপর ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। নিচে এদের পার্থক্য এবং প্রভাব আলোচনা করা হলো:
RAM (র্যাম):
* পূর্ণরূপ: র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি (Random Access Memory)।
* কাজ: র্যাম হলো ফোনের অস্থায়ী মেমরি। যখন কোনো অ্যাপ খোলা হয়, তখন সেই অ্যাপের ডেটা র্যামে জমা হয়। এর ফলে প্রসেসর খুব দ্রুত সেই ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে। র্যাম যত বেশি হবে, ফোন তত বেশি অ্যাপ একসাথে স্মুথলি চালাতে পারবে।
* বৈশিষ্ট্য:
* অস্থায়ী মেমরি (Volatile memory): ফোন বন্ধ করলে র্যামের ডেটা মুছে যায়।
* গতিশীল: ডেটা খুব দ্রুত পড়া ও লেখা যায়।
* অ্যাপ্লিকেশন এবং অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
* পারফরমেন্সে প্রভাব:
* মাল্টিটাস্কিং (Multitasking): বেশি র্যাম থাকলে অনেক অ্যাপ একসাথে চালালেও ফোন স্লো হয় না।
* অ্যাপের গতি: র্যাম কম হলে অ্যাপ খুলতে বা কাজ করতে বেশি সময় লাগতে পারে।
* গেমিং: ভালো গেমিং পারফরমেন্সের জন্য বেশি র্যাম দরকার।
স্টোরেজ:
* কাজ: স্টোরেজ হলো ফোনের স্থায়ী মেমরি। এখানে অ্যাপ, ছবি, ভিডিও, ফাইল ইত্যাদি জমা থাকে। স্টোরেজ যত বেশি হবে, তত বেশি ডেটা ফোনে রাখা যাবে।
* বৈশিষ্ট্য:
* স্থায়ী মেমরি (Non-volatile memory): ফোন বন্ধ করলেও ডেটা মুছে যায় না।
* ধীর গতি: র্যামের তুলনায় ডেটা পড়া ও লেখার গতি কম।
* ফাইল, অ্যাপ, মিডিয়া ইত্যাদি জমা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
* পারফরমেন্সে প্রভাব:
* ডেটা ধারণ ক্ষমতা: বেশি স্টোরেজ মানে বেশি ফাইল, ছবি, ভিডিও রাখা যাবে।
* অ্যাপ ইন্সটলেশন: স্টোরেজ কম থাকলে নতুন অ্যাপ ইন্সটল করা যায় না।
* ফোনের গতি: স্টোরেজ প্রায় ভরে গেলে ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে।
পারফরমেন্সে কিভাবে প্রভাব ফেলে:
* যদি ফোনের র্যাম কম থাকে, তাহলে মাল্টিটাস্কিং করার সময় বা বড় অ্যাপ চালানোর সময় ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে বা হ্যাং করতে পারে।
* যদি ফোনের স্টোরেজ ভরে যায়, তাহলে নতুন ফাইল সেভ করা বা অ্যাপ ইন্সটল করা যাবে না এবং ফোনের পারফরমেন্সও কমে যেতে পারে।
তাই, একটি ভালো পারফরমেন্সের জন্য ফোনে যথেষ্ট র্যাম এবং স্টোরেজ দুটোই থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে, ৪GB বা তার বেশি র্যাম এবং ৬৪GB বা তার বেশি স্টো
রেজযুক্ত ফোন ব্যবহার করা ভালো।