117 বার দেখা হয়েছে
"এমএস ওয়ার্ড" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ব্লকচেইন সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়

ব্লকচেইন সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং কৌশল প্রয়োগ করা হয়। নিচে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার

  • পাবলিক-কী ক্রিপ্টোগ্রাফি:
    ব্লকচেইনে ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করে।

    • পাবলিক কী: ব্লকচেইনে ব্যবহারকারীর পরিচয় প্রকাশ করে।
    • প্রাইভেট কী: ব্যবহারকারীর নিজস্ব গোপন কী যা লেনদেন সুরক্ষিত করে।
  • হ্যাশিং অ্যালগরিদম:
    ব্লকের ডেটা একটি নির্দিষ্ট হ্যাশ মান (যেমন SHA-256) তৈরি করে। এটি ব্লকের ডেটা পরিবর্তন করলে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

২. কনসেনসাস মেকানিজম

কনসেনসাস অ্যালগরিদম ব্লকচেইনের সিস্টেমের নিরাপত্তা বজায় রাখে।

  • প্রুফ অফ ওয়ার্ক (PoW): খনির মাধ্যমে জটিল গণিত সমস্যার সমাধান করে ব্লক যোগ করা।
  • প্রুফ অফ স্টেক (PoS): নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণকারীদের স্টেকের ভিত্তিতে ব্লক যাচাই।
  • প্রুফ অফ অথরিটি (PoA): নির্ভরযোগ্য কর্তৃপক্ষ দ্বারা ব্লক যাচাই।

৩. ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার

  • ব্লকচেইন একটি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম হওয়ায় একক পয়েন্ট অফ ফেলিওরের ঝুঁকি কম থাকে।
  • প্রতিটি নোড একটি কপি ধরে রাখে, ফলে ডেটা বিকৃতি বা হ্যাকিং কঠিন হয়ে যায়।

৪. স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ভেরিফিকেশন

  • স্মার্ট কন্ট্রাক্টের কোড নিয়মিত পরীক্ষা করে ত্রুটি বা দুর্বলতা দূর করতে হবে।

৫. অনিয়ম পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা (Monitoring):

  • নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করা।

৬. সাইবার সিকিউরিটি প্রোটোকল ব্যবহার

  • মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA)।
  • ফায়ারওয়াল এবং VPN ব্যবহার।

ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার এবং স্কেলেবিলিটি ও পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব

১. সিস্টেমের স্কেলেবিলিটি:

  • চ্যালেঞ্জ:
    ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রক্রিয়া, যেমন ডিজিটাল সিগনেচার এবং হ্যাশিং, প্রচুর গণনার প্রয়োজন হয়। ফলে লেনদেনের গতি ধীর হতে পারে।

    • উদাহরণ: বিটকয়েনে প্রুফ অফ ওয়ার্ক ব্যবহারের কারণে লেনদেনের সংখ্যা প্রতি সেকেন্ডে (TPS) সীমিত (৭ TPS)।
  • সমাধান:

    • লেয়ার ২ সলিউশন: চেইনের বাইরে লেনদেন সম্পন্ন করার প্রযুক্তি (যেমন লাইটনিং নেটওয়ার্ক)।
    • শার্ডিং: ব্লকচেইন নোডগুলোকে ছোট অংশে ভাগ করে লেনদেনের গতি বৃদ্ধি।
    • প্রুফ অফ স্টেক (PoS): কম শক্তি ব্যবহার করে স্কেলেবিলিটি উন্নত করে।

২. পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব:

  • ইনক্রিপশন ও ডিক্রিপশন প্রসেস:
    লেনদেন যাচাই ও ব্লক তৈরি করতে সময় লাগে।

    • জটিল ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করলে প্রসেসিং টাইম বাড়ে।
  • লেনদেনের গতি:
    ক্রিপ্টোগ্রাফিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্লকের আকার এবং লেনদেন যাচাইয়ের সময় বৃদ্ধি পায়।

৩. নিরাপত্তা বনাম দক্ষতা (Security vs. Efficiency):

  • ব্লকচেইনে নিরাপত্তা এবং দক্ষতার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়।
  • উচ্চতর নিরাপত্তা মানে বেশি প্রসেসিং সময়, যা পারফরম্যান্স কমাতে পারে।

উপসংহার

ব্লকচেইন সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্রিপ্টোগ্রাফি অপরিহার্য। তবে, এটি স্কেলেবিলিটি ও পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। তাই উন্নত কনসেনসাস অ্যালগরিদম, লেয়ার ২ সলিউশন এবং শার্ডিংয়ের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্লকচেইনের দক্ষতা ও স্কেলেবিলিটি উন্নত করা যেতে পারে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

36,464 টি প্রশ্ন

35,771 টি উত্তর

1,763 টি মন্তব্য

3,864 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
14 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 14 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 4337
গতকাল ভিজিট : 17969
সর্বমোট ভিজিট : 56251105
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...