ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
63 বার দেখা হয়েছে
"তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে বেশ কিছু কারণে সমালোচনা হয়। যদিও ফেসবুক তথ্য সুরক্ষা এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা বজায় রাখতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে, তবে কিছু বিষয় এর নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। এখানে প্রধান কিছু কারণ তুলে ধরা হলো:

1. ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ:

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেক ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, যেমন তাদের লোকেশন, পছন্দ, অনুসন্ধান ইতিহাস, বন্ধুদের তালিকা, এবং তাদের সামাজিক সম্পর্ক। সমালোচকরা অভিযোগ করেন যে, ফেসবুক এই তথ্য খুব বেশি পরিমাণে সংগ্রহ করে, যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার লঙ্ঘন হতে পারে। অনেক সময় ব্যবহারকারীরা এসব তথ্য সম্পর্কে অবগতও থাকেন না, বা সেগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য থাকে না।

2. তথ্য শেয়ারিং এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি:

ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতিতে এই তথ্যগুলি তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করার বিষয়টি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। ফেসবুক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এই তথ্য শেয়ার করে, যেমন বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ব্যবহারকারীর আগ্রহ এবং আচরণের ভিত্তিতে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন পৌঁছানোর জন্য। এতে অনেকেই অভিযোগ করেন যে, ফেসবুক তাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি বা শেয়ার করে, যা একটি বড় গোপনীয়তা সংকটের সৃষ্টি করতে পারে।

3. কুকি ট্র্যাকিং এবং আচরণগত বিজ্ঞাপন:

ফেসবুকের কুকি ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর অনলাইন আচরণ অনুসরণ করে এবং তাদের পছন্দের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দেখায়। যদিও এটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কার্যকর, তবে অনেক ব্যবহারকারী এর মাধ্যমে তাদের প্রতি অত্যধিক নজরদারি এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন অনুভব করেন।

4. ডেটা লিক এবং সুরক্ষা সমস্যা:

ফেসবুক একাধিকবার ডেটা লিকের শিকার হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের তথ্য বাইরে চলে গেছে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল Cambridge Analytica কেলেঙ্কারি, যেখানে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধভাবে তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে গিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা ফেসবুকের তথ্য সুরক্ষা নীতির প্রতি ব্যবহারকারীদের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে।

5. ফেসবুকের অস্বচ্ছতা:

অনেক সময় ফেসবুক তার গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তন করে, এবং এসব পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের জন্য স্পষ্ট না হতে পারে। ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি যে ভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য দৃশ্যমান হয়, তা অনেক সময় জটিল এবং বুঝতে কষ্টকর। এর ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারেন না, তারা কীভাবে তাদের তথ্যের সুরক্ষা করতে পারেন বা ফেসবুক কীভাবে তাদের তথ্য ব্যবহার করছে।

6. সরকারি নজরদারি এবং গ্রাহকের গোপনীয়তা:

ফেসবুক মাঝে মাঝে সরকারের অনুরোধে ব্যবহারকারীদের তথ্য শেয়ার করে, যা অনেক ব্যবহারকারীকে উদ্বিগ্ন করে। বিশেষ করে, নিরাপত্তা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ফেসবুক কতটুকু তথ্য শেয়ার করে, তা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন।

7. ফেসবুকের ডেটা শেয়ারিং নীতির পরিবর্তন:

ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাপ (যেমন ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ) একে অপরের সাথে তথ্য শেয়ার করে। অনেক ব্যবহারকারী মনে করেন, ফেসবুক একাধিক প্ল্যাটফর্মে তাদের তথ্য শেয়ার করে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে। এছাড়া, একাধিক অ্যাপের মধ্যে ডেটা শেয়ারিংয়ের কারণে ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

8. অটো-নেভিগেশন ফিচার:

ফেসবুকের "অটো-নেভিগেশন" ফিচার, যা ব্যবহারকারীদের আচরণ ট্র্যাক করে এবং তাদের আগ্রহ অনুসারে কন্টেন্ট প্রদর্শন করে, অনেক সময় তাদের প্রাইভেসি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে। ব্যবহারকারীরা সচেতন না থাকলে, তাদের অনেকেই অনিচ্ছাকৃতভাবে শেয়ার করা তথ্যের মাধ্যমে অধিক নজরদারির শিকার হন।

9. সামাজিক নেটওয়ার্কিং এবং গোপনীয়তা সংকট:

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জীবনের বিভিন্ন দিক শেয়ার করতে উৎসাহিত করে, কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী তার গোপনীয়তা রক্ষা করতে চান না। ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতির মধ্যে মাঝে মাঝে এই দৃষ্টিভঙ্গি পূর্ণভাবে অনুসরণ করা হয় না, বিশেষ করে যখন এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বা বিক্রি করতে উৎসাহিত করে।

উপসংহার:

ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে সমালোচনা সাধারণত তথ্যের অপব্যবহার, ব্যবহারকারীর অজ্ঞতা, তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য শেয়ার এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণে হয়ে থাকে। যদিও ফেসবুক গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে এ ধরনের উদ্বেগগুলো দূর করার জন্য আরও স্বচ্ছতা এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে বিভিন্ন কারণে সমালোচনা হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো:

 * তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার: ফেসবুক ব্যবহারকারীদের থেকে ব্যাপক পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করে, যেমন - ব্যক্তিগত তথ্য, পছন্দ, অপছন্দ, কার্যকলাপ, অবস্থান ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাদের তথ্য ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন ধারণা থেকে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

 * তৃতীয় পক্ষের সাথে তথ্য শেয়ার: ফেসবুক প্রায়ই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য শেয়ার করে। এই তথ্য কিভাবে ব্যবহৃত হবে, সে বিষয়ে অনেক সময় স্বচ্ছতা থাকে না। ফলে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 * গোপনীয়তা সেটিংসের জটিলতা: ফেসবুকের গোপনীয়তা সেটিংস অনেক জটিল এবং সহজে বোধগম্য নয়। অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না কিভাবে তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হয়। এই কারণেও ফেসবুকের সমালোচনা হয়।

 * ডেটা ফাঁস: অতীতে বেশ কয়েকবার ফেসবুকের ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে গেছে। এই ঘটনাগুলোর পর ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে মানুষের আস্থা কমে গেছে।

 * নজরদারি: ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে এবং তাদের প্রোফাইল তৈরি করে। এই প্রোফাইলের ভিত্তিতেই ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। অনেকে মনে করেন এটি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের উপর হস্তক্ষেপ।

 * নীতিমালার পরিবর্তন: ফেসবুক প্রায়ই তাদের গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তন করে, যা অনেক সময় ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে অনেক সময় ব্যবহারকারীদের পর্যাপ্ত জানানো হয় না।

 * রাজনৈতিক ব্যবহার: ফেসবুকের তথ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। যেমন - কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি, যেখানে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

 * শিশুদের গোপনীয়তা: শিশুদের তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ফেসবুক সবসময় নিশ্চিত করতে পারে না বলে অভিযোগ।

এই সকল কারণগুলোর জন্য ফেসবুকের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে প্রতিনিয়ত সমালোচনা হয়ে থাকে। ব্যবহারকারীদের উচিত নিজেদের তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং ফেসবুকের সেটিংস ব্যবহার করে নিজেদের গোপনীয়তা রক্ষা করা।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
10 ফেব্রুয়ারি, 2021 "তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
4 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 4 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 5373
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51877730
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...