সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবকিছুই এখন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সবকিছুই এখন সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিতে। তাই, নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
* শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার:
* সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত না (যেমন - 123456, password, birthday)।
* কমপক্ষে ১২-১৪ অক্ষরের বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন (!@#$%^&*) এর মিশ্রণ থাকে।
* বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
* পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে নিরাপদে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন।
* মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) ব্যবহার:
* MFA হলো একটি অতিরিক্ত সুরক্ষার স্তর, যেখানে পাসওয়ার্ডের সাথে সাথে অন্য কোনো মাধ্যমেও পরিচয় নিশ্চিত করা হয় (যেমন - OTP, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, সিকিউরিটি কী)।
* সম্ভব হলে সকল অ্যাকাউন্টে MFA চালু করুন।
* সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখুন:
* সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের আপডেটে নিরাপত্তা ত্রুটি সমাধান করা হয়। তাই নিয়মিত আপডেট করা উচিত।
* অটোমেটিক আপডেটের অপশন চালু রাখতে পারেন।
* অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার:
* কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত স্ক্যান করুন এবং সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
* ফিশিং থেকে সাবধান:
* ফিশিং হলো প্রতারণার একটি পদ্ধতি, যেখানে ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়।
* সন্দেহজনক ইমেইল বা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।
* কোনো ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন - পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর) ইমেইলে শেয়ার করবেন না।
* পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্কতা:
* পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক নিরাপদ নাও হতে পারে। তাই এই নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা উচিত না।
* ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করে সংযোগ আরও সুরক্ষিত করতে পারেন।
* সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কতা:
* সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য বেশি প্রকাশ করা উচিত না।
* প্রাইভেসি সেটিংস চেক করে নিজের প্রোফাইল সুরক্ষিত করুন।
* ডেটা ব্যাকআপ রাখুন:
* নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ রাখুন। এতে র্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হলেও ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
* শিক্ষিত এবং সচেতন থাকুন:
* সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে নতুন তথ্য এবং হুমকির বিষয়ে অবগত থাকুন।
* পরিবার এবং বন্ধুদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করুন।
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি নিজের এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা
অনেকখানি নিশ্চিত করতে পারবেন।