ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
106 বার দেখা হয়েছে
"গবেষণা" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

কগনিটিভ ডিসোনেন্স (Cognitive Dissonance) এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি তার বিশ্বাস, মানসিকতা, বা কর্মের মধ্যে অসঙ্গতি অনুভব করে। এই অসঙ্গতি মানসিক অস্বস্তি তৈরি করে, যা দূর করতে মানুষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। 



 • কগনিটিভ ডিসোনেন্সের প্রভাব কীভাবে কাজ করে: 


1. দ্বিধা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হয়: 

   - যখন একটি সিদ্ধান্ত ব্যক্তির পূর্বের বিশ্বাস বা মূল্যবোধের সঙ্গে মেলে না, তখন মানসিক দ্বিধা সৃষ্টি হয়।  

   - উদাহরণ: একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন।


2. মৌলিক সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন:

   - এই অস্বস্তি কমানোর জন্য ব্যক্তি তার পূর্বের বিশ্বাসকে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করেন। 

   - উদাহরণ: "আমি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারি না, মাঝে মাঝে ক্ষতি নেই।" 


3. নিজের কাজকে যৌক্তিক করার প্রবণতা: 

   - ব্যক্তিরা তাদের কাজকে সঠিক মনে করার জন্য নিজের যুক্তি তৈরি করেন। 

   - উদাহরণ: কেউ যদি পরিবেশ নিয়ে সচেতন হয়, কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহার করেন, তবে তিনি বলবেন, "এই একবারে কোনো ক্ষতি হবে না।" 


4. পছন্দকে ন্যায্যতা দেওয়া: 

   - সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ব্যক্তি সেই সিদ্ধান্তকে আরও যৌক্তিক মনে করার চেষ্টা করেন। 

   - উদাহরণ: একটি ব্যয়বহুল ফোন কেনার পর কেউ নিজেকে বোঝাতে পারেন, "এই ফোনটি দীর্ঘমেয়াদে ভালো সেবা দেবে।" 



 • কগনিটিভ ডিসোনেন্স সিদ্ধান্তকে কীভাবে প্রভাবিত করে: 


1. নতুন তথ্য গ্রহণ বা বর্জন: 

   - ব্যক্তি এমন তথ্য গ্রহণ করেন যা তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে এবং বিরোধী তথ্য এড়িয়ে যান।  

   - উদাহরণ: ধূমপায়ী ব্যক্তি ধূমপানের ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে যায় এবং বলে, "কিছু মানুষ ধূমপান করেও দীর্ঘজীবী হয়েছে।"  


2. অস্বস্তি এড়ানোর জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত: 

   - মানসিক চাপ কমাতে মানুষ কোনো বিষয় নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চায়। 

   - উদাহরণ: একজন ব্যক্তি শপিং করার সময় সস্তা পণ্য কিনে নিজের সময় বাঁচাতে পারে। 


3. নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকা: 

   - পূর্বে নেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণের জন্য মানুষ একই পন্থায় অটল থাকে। 

   - উদাহরণ: কেউ যদি একটি খারাপ সিনেমা দেখতে শুরু করে, তবে টিকেটের টাকা অপচয় এড়াতে পুরো সিনেমা দেখে শেষ করেন। 



 • কগনিটিভ ডিসোনেন্স দূর করার উপায়: 


1. বিশ্বাস পরিবর্তন: 

   - পূর্ববর্তী ধারণাগুলোকে পুনর্বিবেচনা করা। 


2. আচরণ পরিবর্তন: 

   - সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ করা। 


3. তুচ্ছতা যুক্তি: 

   - পরিস্থিতিকে ছোট বা গুরুত্বহীন হিসেবে দেখানো। 



 •  সারাংশ: 

কগনিটিভ ডিসোনেন্স মানুষের মানসিক এবং আবেগগত অবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এটি তাকে তার বিশ্বাস, সিদ্ধান্ত, এবং আচরণকে সমন্বয় করতে বাধ্য করে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এই প্রক্রিয়া তার চিন্তাকে তাড়িত করে, কখনো যুক্তিগ্রাহ্যভাবে এবং কখনো অযৌক্তিকভাবে।

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
কগনিটিভ ডিসোনেন্স হলো একটি মানসিক অস্বস্তি বা অস্বীকারের অবস্থা, যা তখন ঘটে যখন একজন ব্যক্তি তার বিশ্বাস, মতামত বা আচরণের মধ্যে অমিল অনুভব করেন। এটি প্রথম আবিষ্কার করেন মনোবিজ্ঞানী লিওন ফেস্টিঞ্জার ১৯৫৭ সালে। এই তত্ত্ব অনুসারে, মানুষ যখন দুইটি বা তার বেশি পরস্পরবিরোধী চিন্তা বা বিশ্বাস ধারণ করেন, তখন তারা মানসিক অস্বস্তি অনুভব করেন এবং সেই অস্বস্তি দূর করার জন্য তারা কোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।

কগনিটিভ ডিসোনেন্স মানুষের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াকে বেশ কিছু উপায়ে প্রভাবিত করতে পারে:

1. বিশ্বাস পরিবর্তন:

যখন মানুষের আচরণ বা সিদ্ধান্ত তাদের পূর্বের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তখন তারা তাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করার প্রবণতা দেখাতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি জানে যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তবে যদি সে ধূমপান করতে থাকে, সে হয়তো নিজের বিশ্বাস পরিবর্তন করবে বা এটি ন্যায্যতা দিতে অন্য কোনো যুক্তি খুঁজে বের করবে।

2. অস্বীকার এবং যুক্তির ব্যবহার:

কগনিটিভ ডিসোনেন্স এড়ানোর জন্য মানুষ কখনো কখনো অস্বীকার বা যুক্তির ব্যবহার করতে পারে। যেমন, কেউ যদি ক্ষতিকর খাদ্য খায়, তবে সে হয়তো বলবে "এটা শুধু একদিনের জন্য, কোন ক্ষতি হবে না" বা "অন্যান্য লোকও তো এটা খায়"—এইভাবে, তারা নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা করবে।

3. আত্মরক্ষামূলক আচরণ:

মানুষের মধ্যে কগনিটিভ ডিসোনেন্স তখনও সৃষ্টি হতে পারে যখন তারা জানে যে তাদের সিদ্ধান্তে কোনো ধরনের ভুল বা ক্ষতিকর কিছু থাকতে পারে। তখন তারা ঐ সিদ্ধান্তের পক্ষে আত্মরক্ষামূলক আচরণ গ্রহণ করতে পারে, যেমন পরিস্থিতি বা তথ্য উপেক্ষা করা বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজে বের করা।

4. অন্যের প্রভাব:

কগনিটিভ ডিসোনেন্স দূর করার জন্য অনেক মানুষ অন্যদের প্রভাবিত হতে পারেন। তারা তাদের আশেপাশের লোকদের মতামত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যাতে তারা মানসিক অস্বস্তি থেকে মুক্তি পায়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি তার বন্ধুদের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্তের জন্য সমর্থন পায়, তবে সে সিদ্ধান্তের সাথে সম্পর্কিত অস্বস্তি কমিয়ে দিতে পারে।

5. অনেক সময় সিদ্ধান্তে দেরি করা:

কগনিটিভ ডিসোনেন্স মানুষকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দেরি করতেও প্রভাবিত করতে পারে, কারণ তারা ভয়ের মধ্যে থাকে যে সিদ্ধান্তটি তাদের পূর্বের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকে।

সামগ্রিকভাবে, কগনিটিভ ডিসোনেন্স মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যেমন, তাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করা, যুক্তি খুঁজে বের করা, কিংবা আত্মরক্ষামূলক আচরণ প্রদর্শন করা। এই প্রক্রিয়াটি ব্যক্তি বা দলের মানসিক এবং আচরণগত অবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
15 সেপ্টেম্বর, 2023 "ভূমন্ডল ও সৌরজগৎ" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Nirob_11
1 টি উত্তর
7 সেপ্টেম্বর, 2023 "গবেষণা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন রাজ
0 টি উত্তর
15 মার্চ, 2022 "গবেষণা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Zakir
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 10162
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51882514
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...