সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির মধ্যে সম্পর্ক
সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি দুটি এমন ধারণা যা ডিজিটাল জগতে আমাদের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্রিপ্টোগ্রাফি কী?
ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো তথ্যকে এমনভাবে এনকোড করার একটি প্রক্রিয়া যাতে কেবল অনুমোদিত ব্যক্তিই তা বুঝতে পারে। এটি মূলত একটি গাণিতিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে তথ্যকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয় যাতে তা অপরিচিতদের কাছে অর্থহীন হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে ডিক্রিপশন করে মূল তথ্য ফিরিয়ে আনা যায়।
সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল কী?
সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল হলো একটি নির্দিষ্ট সেট নির্দেশাবলী যা তথ্য সিস্টেমকে অবৈধ অ্যাক্সেস, ব্যবহার, পরিবর্তন বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রোটোকলগুলো ক্রিপ্টোগ্রাফির মতো বিভিন্ন নিরাপত্তা কৌশল ব্যবহার করে।
দুটির মধ্যে সম্পর্ক
সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি মূল উপাদান। একটি সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করে তথ্যকে এনক্রিপ্ট করে, যাতে তা অননুমোদিত ব্যক্তিদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য না হয়।
উদাহরণ:
* HTTPS: এই প্রোটোকলটি ওয়েবসাইটে নিরাপদ সংযোগ স্থাপন করে। এটি ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া তথ্যকে এনক্রিপ্ট করে।
* VPN: ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) একটি সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করে যা ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে ডেটা টানেলিং করে।
* ডিজিটাল স্বাক্ষর: ডিজিটাল স্বাক্ষর একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর যা ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে ডকুমেন্টের অখণ্ডতা এবং প্রমাণীকরণ নিশ্চিত করে।
সারসংক্ষেপ:
* ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো তথ্য এনকোড করার একটি পদ্ধতি।
* সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল হলো একটি নির্দিষ্ট সেট নির্দেশাবলী যা তথ্য সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে।
* ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি মূল উপাদান।
সহজ কথায়: ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো তালা, আর সাইবার নিরাপত্তা প্রোটোকল হলো সেই তালা ব্যবহার করে একটি ঘরকে সুরক্ষিত রাখার নির্দেশাবলী।