ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
105 বার দেখা হয়েছে
"চাকরি" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান পদস্থ ব্যক্তি এবং তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানের প্রতীক। তবে তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং এটি কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সীমাবদ্ধ থাকে। সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব এবং তার সীমাবদ্ধতাগুলো নিম্নরূপ:


রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব

১. নির্বাহী ক্ষমতা:

  • সংবিধানের ৪৮(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের নির্বাহী কর্তৃত্বের প্রধান হলেও তিনি কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন।
  • প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করলে রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেন।

২. আইনসভার সম্পর্কিত ক্ষমতা:

  • রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেন এবং সংসদে তার ভাষণ দেন (৬৮ ধারা)।
  • রাষ্ট্রপতি কোনো বিল অনুমোদন দিলে তা আইনে পরিণত হয়। তবে তিনি একবার একটি বিল পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে পাঠাতে পারেন।

৩. সংবিধান রক্ষক:

  • রাষ্ট্রপতি সংবিধান রক্ষার শপথ নেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।

৪. জুডিশিয়ারি সম্পর্কিত দায়িত্ব:

  • প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ দেন।
  • সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারেন।

৫. ক্ষমা ও দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা:

  • সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ডসহ কোনো অপরাধীর সাজা ক্ষমা, স্থগিত, বা লঘু করতে পারেন।

৬. প্রতিরক্ষা ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা:

  • সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন, তবে এটি সংসদের অনুমোদনসাপেক্ষ।

৭. বৈদেশিক সম্পর্ক:

  • রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন এবং বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।

৮. অন্যান্য সাংবিধানিক ক্ষমতা:

  • রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন কমিশনের প্রধান বা সদস্য নিয়োগ দেন (যেমন, নির্বাচন কমিশন)।
  • রাষ্ট্রপতি বাজেট অনুমোদন করেন।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা

১. প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ:

  • সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না (যদি অন্যথা উল্লেখ না থাকে)।

২. প্রতীকী ক্ষমতা:

  • রাষ্ট্রপতির অনেক ক্ষমতা কার্যত প্রতীকী, যেমন—নির্বাচন কমিশন গঠন বা প্রধান বিচারপতি নিয়োগ।

৩. জবাবদিহিতা:

  • রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সংসদের মাধ্যমে পর্যালোচনা হতে পারে।
  • তার ভূমিকা সাধারণত "সংবিধান ও আইনের অধীন"।

৪. জরুরি অবস্থা:

  • জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হলে সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন।

৫. অপসারণ:

  • সংবিধানের ৫২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গুরুতর অসদাচরণ বা অক্ষমতার কারণে সংসদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা সম্ভব।

৬. সীমিত নির্বাহী ক্ষমতা:

  • সংসদ ভঙ্গ করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নেই। সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে।

সংবিধানের মূল ভিত্তি ও রাষ্ট্রপতির ভূমিকা

বাংলাদেশের সংবিধান একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রধানত আনুষ্ঠানিক এবং প্রতীকী। দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কার্যত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভাই মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে বর্ণিত। মূল বিষয়গুলো হলো:

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

1. প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা গঠন:

রাষ্ট্রপতি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন (অনুচ্ছেদ ৫৬) এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করেন।

2. আইন প্রণয়ন ও অধ্যাদেশ জারি:

রাষ্ট্রপতি সংসদের অনুমোদিত বিলকে স্বাক্ষর করে আইন হিসেবে জারি করেন (অনুচ্ছেদ ৮০)। এছাড়া, সংসদ অধিবেশন না থাকলে জরুরি অবস্থায় অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ৯৩)।

3. সংসদ ভঙ্গ ও অধিবেশন আহ্বান:

রাষ্ট্রপতি সংসদের অধিবেশন আহ্বান, মুলতবি, কিংবা ভঙ্গ করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ৭২)।

4. ক্ষমা প্রদান ও শাস্তি লঘু করা:

রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা, দণ্ড লঘু করা বা স্থগিত করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ৪৯)।

5. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও চুক্তি:

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।

6. জরুরি অবস্থা ঘোষণা:

তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন (অনুচ্ছেদ ১৪১)।

---

ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা:

1. প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ওপর নির্ভরশীলতা:

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বেশিরভাগ ক্ষমতা প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে।

2. কর্তৃত্ব সীমাবদ্ধতা:

রাষ্ট্রপতি একটি সাংবিধানিক পদ এবং নির্বাহী ক্ষমতা কার্যত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার হাতে থাকে (অনুচ্ছেদ ৫৫)।

3. পুনর্নির্বাচনের সীমাবদ্ধতা:

একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি হতে পারেন না (অনুচ্ছেদ ৫০)।

4. জবাবদিহিতার অভাব:

রাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালনের সময় কোনো আদালতে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন (অনুচ্ছেদ ৫১), তবে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে অপসারণ করা যেতে পারে।

5. অপসারণ প্রক্রিয়া:

রাষ্ট্রপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণ করেন, তাহলে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা সম্ভব (অনুচ্ছেদ ৫২)।

---

উপসংহার:

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক পদ। যদিও তিনি দেশের প্রধান রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, তার কার্যত ক্ষমতা সীমিত এবং প্রধানত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ওপর নির্ভরশীল। সংবিধান রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চর্চা ও সীমাবদ্ধতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে, যা গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নিশ্চিত করে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
5 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 5 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 5756
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51878113
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...