ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
149 বার দেখা হয়েছে
"দৈনন্দিন সমস্যা" বিভাগে করেছেন
 
৪ বছরের রিলেশনের পর বিয়ে হয়েছিল আমাদের। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের ডিভোর্সের ব্যাপারে কথা চলছে। 

ডিভোর্সের কারণ তার ছেলে বেস্ট ফ্রেন্ড। বিয়ের আগে থেকে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে আমি পজিটিভই নিতাম। বিয়ের পর একবছর পর্যন্তও পজিটিভ ছিল আমার কাছে। সবাই বলেনা যে ছেলে মেয়ে কখনো বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারেনা। যেটা হয় সেটা লুচ্চামি। আমি এটা আগে বিশ্বাস করতামনা। কিন্তু এখন… 
ওর আমি অনেক কেয়ার নিতাম, সম্মান করতাম, জীবনের থেকেও ভালোবাসতাম। সেজন্যই সে আমারে বিয়ে করেছে। 

আমি চাকুরী করি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে আর সে চাকুরী করে নার্সিং জবে একটা হাসপাতালে (সিক্রেট রাখলাম নাম)। তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়ে আমি জেলাস হতামই মাঝে মাঝে। যখন দেখতাম ওরে নিয়ে সে পোস্ট দিতো, আমার কাছে প্রসংশা করতো। আমি একদিন সরাসরি বলছিলাম তোমার বেস্টফ্রেন্ড এর সাথে মেলামেশা আমার পছন্দ না। এসব নিয়ে ঝগড়া করে আমার সাথে যোগাযোগ ছিলোনা একমাস প্রায়। সে এমনভাবে তার ফ্রেন্ডকে নিয়ে বলতো যেন সে ফেরেশতা। ঝগড়ার পর অনেক রিকুয়েস্টের পর সব ঠিক হয়। মাঝে মাঝে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বাইকে ঘুরতে যেত এসব অবশ্য শেয়ারও করতো ডে পোস্টে। আমি ভাবছি যা করুক করুক। বিয়ের পর ঠিক করে নেবো। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড আবার ওর কলেজ ফ্রেন্ড ছিলো। এখন জবও করে একসাথে। 

বিয়ের আগে একবার সে নার্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকায় গিয়েছিল। আমি বললাম কার সাথে যাচ্ছো। বলছিল তার বান্ধবীদের সাথে। তারপর অনেকদিনপর দেখতে পারি তার ফ্রেন্ডের একটি পিক ওর মেসেঞ্জারে। যেখানে সে ছেলের কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছে ট্রেনে, কেবিনে কোলে শুয়ে আছে। এসব দেখে আমার পায়ের নিচে মাটি ছিলোনা বুঝতেছিলাম। তর্ক করছিলো মাথা কাধে রেখে, কোলে রেখে গেছে তো কি হইছে। আমাকে লজিক দেখাইলো ঘুম চলে আসায় এমনটা হতেই পারে পারে ব্লা ব্লা। তো আমি বললমাম তাহলে ঔসময় আমাকে মিথ্যা বলছিলা কেন বান্ধবীর সাথে যাচ্ছো। পরে সে স্বীকার করলো আর মাফ চাইলো আর এমন হবেনা। অনেক ভুল করছে ব্লা ব্লা। তারপর অনেক কিছুর পর বিয়ে হলো আমাদের। এখানে একটা ভালো লাগার ব্যাপার আছে। ওর ইচ্ছে ছিল খুব কম টাকায় কাবিন করে বিয়ে করবে। 

আমাদের দুজনের পরিবারই স্বাবলম্বী। কেউ থেকে কেউ কম না। তার কথাতেই এক লাখ টাকার নগদ কাবিনে আমাদের বিয়ে হলো। ওর ভালো দিকগুলোর শেষ নাই। একটাই সমস্যা ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ডদের সাথে চলাফেরা আমার পছন্দ হয়না। সেজন্য আমাকে টক্সিক বলে, বলে আমি নাকি আপডেটেড না।
জীবনে আমি ওর কোন কিছুর অভাব রাখিনি। অনেক ভালোবাসতাম। সে আমার খুব সখের, খুব প্রিয় মানুষ। তাই সবকিছু সহ্য করে মেনে নিয়ে চলতাম। ওর সাথে থাকলেই দুনিয়ার সব ভুলে যেতাম। কোনকিছু আর মনেই থাকতোনা। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে দুটো ঘটনার কারণে আজ আমরা আলাদা হওয়ার পথে। ডিভোর্সের কথাবার্তা চলতেছে। ঘটনা দুটোই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ড ওরে কি গিফ্ট করছে জানেন? একটি ঘরি, ফেমিনিন ওয়াশ, পিংক লেডি সিক্রেট সোপ, ব্রা, প্যা*ডস। মানে ব্যাপারটা কেমন লাগবে একমাত্র আমার মত ছেলেরা বুঝবে। শুধু কল্পনা করুন আপনার বউকে তার ফ্রেন্ড এসব গিফট করেছে আর আপনি কি করতেন তখন। এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া হইছে। সে বলে এসব দেওয়ায় কি এমন হইলো। এই কথা বলায় আমি হাত দিয়ে আ*য়না ভে* ঙে ফেলি। তারপর সে ঠান্ডা হলো আর সিদ্ধান্ত নিলো এগুলো ফেরত দিয়ে দিবে। বেশদিন হয়ে গেলো ফেরত দেয়নি। পরে আমি সব ফেলে দিছি। তাকে বুঝিয়ে বলছি ওর ফ্রেন্ডের সাথে যেন কোন যোগাযোগ না রাখে। অনেক বুঝিয়েছি। বলছে আর রাখবেনা। আমি বলছিলাম যদি দেখি তাহলে খবর আছে। সে সাথে সাথে চেইত্যা বলে কি খবর করবা? তালাক দিবা? সে বলে, ১০ লাখ কাবিন ডিজার্ব করি আর মাত্র ১ লাখে বিয়ে বসছি দেইখা তুমি স্বস্তা মনে করো আমাকে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কই থেকে কি বলে। শুধু একটাই বলছি আমাকে হারাবা সারাজীবনের জন্য আমার অবাধ্য হইলে। সে ও চুপ হয়ে যায়। চলতে লাগলো সুন্দরভাবেই। তার কয়েকদিন পর ওর বান্ধবীর বিয়েতে যায় সে। সেখানে আমি যাই বিয়ের দিন । সে একদিন আগে গেছে। ওর বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে পরিচয়ে ফেবুতে যুক্ত হওয়া হয় আমার। বিয়েতে ওর ফ্রেন্ডরে দেখছিলাম। আমার বউকে দেখছি তাকে এড়িয়ে চলতে। 

বিয়ে থেকে আসার বেশ কয়েকদিন পরে বউয়ের বান্ধবীর ভাইয়ের আইডিতে গায়ে হলুদের একটা ভিডিও পাই। ভিডিওতে দেখতে পাই আমার বউকে পেছন থেকে পেটে টাইট করে জড়িয়ে ধরে শুন্যে রেখে গ*লায় আর মুখে হলুদ লাগাচ্ছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক ধৈর্য্য ধরে চুপ থেকে বাসায় যেয়ে ওর ফোন নেই জোর করে। বলে কি হইছে। বলছি চুপ করে দেখো। তারপর ওর ফ্রেন্ডরে ওর আইডি থেকে এই ভিডিওর লিং*ক দিয়ে বলি দোস্ত অনেক মজা হইছে ঐদিন তাইনা। সে বলে, দিনটা ভুলার মত না। তোর জামাই তো তোরে ঠিকমত খা**তে পারেনা। সাথে লজ্জার ইমোজি দিছে। ভিডিও কল দিছি আর আমাকে দেখেই কে*টে দিছে। 

এরপর থেকে যে ঝামেলা হইছে সেটা আর থামেনাই। ডিভোর্সের কথা বলছি আমি। আমারে ঔ ১ লাখ টাকার কথা শুনায়। রাগে বলছি আরো ৪ লাখ ম্যানেজ করে দিয়ে দিবোনে তোমারে। তাহলে ৫ লাখ কাবিন হবে। সেই থেকে মাফ চেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখন পাথর হয়ে গেছি এসবের জন্য। আর পারতেছিনা। কি সিদ্ধান্ত নিবো বুঝতেও পারছিনা। এক মাস হলো আলাদা হয়ে গেছি। ডিভোর্স দিবো দুই পরিবারই জানে। তারা আলোচনায় বসতে চাইছে অনেকবার। আমি বসিনাই। আমি এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। কি করবো বুঝতে পারছিনা?

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

আপনার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং মানসিকভাবে কঠিন। এ অবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় ও পরিষ্কার চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। আপনার সম্পর্কের বিষয়ে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবতে হলে নিচের কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে পারেন:


১. আপনার অনুভূতি স্পষ্ট করুন

  • নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: আপনি কি সত্যিই এই সম্পর্কটি চালিয়ে যেতে চান, নাকি ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক থেকে সরে যেতে চাইছেন?
  • যদি ভালোবাসা এখনও থাকে এবং সমস্যাগুলো মিটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে একটি সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
  • যদি আস্থা ভেঙে গিয়ে থাকে এবং পুনরায় গড়ে তোলার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে আলাদা হওয়াটাই উত্তম হতে পারে।

২. স্বচ্ছভাবে আলোচনা করুন

আপনার স্ত্রী এবং তার পরিবারকে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ আলোচনা করার চেষ্টা করুন। এই আলোচনায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন:

  • আপনি কেন আস্থা হারিয়েছেন এবং কিসে সমস্যা দেখছেন।
  • তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কের প্রকৃতি।
  • সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য তার পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

৩. থেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের চেষ্টা করুন

ম্যারেজ কাউন্সেলিং আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হতে পারে। পেশাদার কাউন্সেলর আপনার দুজনের মধ্যে দূরত্ব এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সহায়তা করতে পারেন। অনেক সময় নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষের সাহায্যে সমস্যা স্পষ্ট হয়।


৪. আস্থা এবং সীমারেখা প্রতিষ্ঠা করুন

  • যদি সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে সীমারেখা (boundaries) প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কের ধরন এবং ভবিষ্যতের সীমারেখা নিয়ে পরিষ্কার কথা বলুন।

৫. যদি ডিভোর্সের দিকে যান

যদি আপনি সিদ্ধান্ত নেন যে ডিভোর্সই একমাত্র সমাধান, তবে তা শান্তিপূর্ণভাবে করার চেষ্টা করুন। কোনো দোষারোপ বা মানসিক আঘাত দিয়ে সম্পর্ক শেষ না করে পরিণতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুন।


৬. আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

আপনার এই মুহূর্তে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং নিজের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের কাছে, যারা আপনাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিতে পারে।


চূড়ান্ত পরামর্শ

  • যদি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দেখতে পান এবং সমস্যাগুলো মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন, তাহলে একবার আলোচনা এবং সমাধানের চেষ্টা করুন।
  • যদি আস্থা ভেঙে গিয়ে থাকে এবং পুনরায় সম্পর্ক গড়া অসম্ভব মনে হয়, তবে সম্পর্ক শেষ করাও একটি বাস্তবসম্মত সমাধান।

আপনার মন শক্ত রাখুন এবং তাড়াহুড়ো না করে শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। আপনার যদি আরও কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, জানাতে পারেন।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,255 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 6 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 14748
গতকাল ভিজিট : 11577
সর্বমোট ভিজিট : 51869614
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...