যদি কারো ১ মাসে ৩ বার পিরিয়ড (মাসিক) হয়, তবে এটি একটি অস্বাভাবিক অবস্থা এবং এর জন্য কোনো underlying (অদৃশ্য) স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কিছু কারণ এবং করণীয় সম্পর্কে জানানো হলো:
সম্ভাব্য কারণ:
1. হরমোনাল অসামঞ্জস্যতা: হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে মাসিকের সাইকেল অস্বাভাবিক হতে পারে। যেমন:
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এই রোগে হরমোনের সমস্যা থাকতে পারে, যার ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিকের সাইকেল প্রভাবিত করতে পারে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপও মাসিকের সাইকেলে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে।
2. অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বা শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত ওজন বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমও মাসিক সাইকেলে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
3. গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা: যেমন ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অবস্থা গুলি মাসিকের নিয়মিততার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
4. অলিভারি ডিসফাংশন: একাধিক ডিম্বাণু বের হওয়া বা অন্য কোনো ডিসফাংশন হলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
করণীয়:
1. চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া: প্রথমেই একজন গাইনোকোলজিস্ট বা সাধারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তারা আপনার শারীরিক অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নির্ধারণ করবেন। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে আলট্রাসাউন্ড, হরমোনাল টেস্ট, থাইরয়েড টেস্ট, ইত্যাদি থাকতে পারে।
2. রক্ত পরীক্ষা: হরমোনের পরিবর্তন চেক করার জন্য বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন, ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন ইত্যাদির মাত্রা পর্যালোচনা করা সম্ভব।
3. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: যদি স্ট্রেস এই সমস্যার কারণ হয়ে থাকে, তবে স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা মনোবিদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
4. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত শারীরিক কসরত নিয়মিত করতে হবে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মাসিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।
5. মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট: যদি হরমোনাল সমস্যা থাকে, তবে চিকিৎসক হরমোনাল থেরাপি বা অন্য কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এতসব অবস্থা দেখে চিকিৎসক আপনার সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন, তাই কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।