বাংলাদেশের মাটির লবণাক্ততার কারণ মূলতঃ দুটি:
* প্রাকৃতিক কারণ:
* সমুদ্রের পানির অনুপ্রবেশ: উপকূলীয় এলাকায় জোয়ার-ভাটার কারণে সমুদ্রের লোনা পানি মাটিতে অনুপ্রবেশ করে।
* নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়া: শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় সমুদ্রের লোনা পানি নদীতে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে আসে এবং নদীর পাড়ের মাটি লবণাক্ত হয়ে পড়ে।
* জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া মাটির লবণাক্ততাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
* মানবিক কারণ:
* অনুপযুক্ত সেচ ব্যবস্থা: অতিরিক্ত সেচের ফলে মাটির নিচের লবণ উপরে উঠে আসে।
* চিংড়ি চাষ: উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি চাষের জন্য লোনা পানি ব্যবহার করা হয়, যা মাটির লবণাক্ততা বাড়িয়ে তোলে।
* বন উজ্জ্বলন: বন উজ্জ্বলনের ফলে মাটির ক্ষয় হয় এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়।
লবণাক্ততার ফলে কী হয়?
* ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
* মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়।
* ভূমি ক্ষয় হয়।
* পরিবেশ দূষিত হয়।
কীভাবে লবণাক্ততা কমানো যায়?
* কলস সেচ: এই পদ্ধতিতে পানি সরাসরি গাছের গোড়ায় দেওয়া হয়, ফলে মাটিতে লবণ জমার পরিমাণ কমে।
* খামার পুকুর পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে খামারের পাশে পুকুর খনন করে বর্ষাকালে পানি জমা করে রাখা হয় এবং শুষ্ক মৌসুমে সেই পানি দিয়ে ফসল সেচ করা হয়।
* দুই স্তর মালচিং পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে মাটির উপর দুই স্তর মালচিং ব্যবহার করে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা হয় এবং বাষ্পীভবন কমানো হয়।
* লবণ সহনশীল ফসল চাষ: এমন কিছু ফসল আছে যা লবণাক্ত মাটিতেও ভালো হয়।