পাইথন হল একটি অবজেক্ট-ভিত্তিক, হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, যা ওয়েবসাইট তৈরি, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট , মেশিন লার্নিং, ওয়েব স্ক্র্যাপিং, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর মতো কাজে ব্যবহৃত হয় ।পাইথনকে জেনারেল পারপাস প্রোগ্রামিং ভাষাও বলা হয় । এটি ১৯৮০ এর দশকে প্রথম শুরু হয়েছিল ।
পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজের স্পষ্ট সিনট্যাক্স এবং সহজে পঠনযোগ্য হওয়ার কারণে, এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হয়ে উঠেছে । পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ডাইনামিক টাইপিং এবং ডাইনামিক বাইন্ডিং এর মত অপশন প্রদান করে ।এই কারণে, এটি দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ।
পাইথন একটি ইন্টারপ্রেটেড ল্যাঙ্গুয়েজ (interpreted language), যার মানে হল পাইথনে লেখা প্রোগ্রাম, রান করার আগে কম্পাইল করার প্রয়োজন পরে না । পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ, মডিউল এবং প্যাকেজের ব্যবহার সাপোর্ট করে । সহজ কথায়, আপনি একটি মডুলার স্টাইলে, একটি পাইথন প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে পারেন এবং এর কোড অন্যান্য অনেক প্রকল্পে পুনরায় ইউজ করতে পারেন ।
আপনি যদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে চান, তাহলে আপনি পাইথন দিয়েও শুরু করতে পারেন । কারণ এর কোডগুলো হুবহু ইংরেজি ভাষার মতো ।
পাইথন তার কোডকে সরাসরি মেশিন কোডে রূপান্তর করে না । মূলত এটি তার কোডকে বাইট কোডে কনভার্ট করে । তাই পাইথনের মধ্যে, কম্পাইলেশন ঘটে, তবে এটি শুধুমাত্র একটি মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ নয় ।
এই বাইট কোড ( .pyc বা .pyo ) CPU সরাসরি বুঝতে পারে না । তাই এই বাইট কোড রান করার জন্য পাইথন ভার্চুয়াল মেশিন নামে একটি দোভাষীর প্রয়োজন হয় ।
সহজ কথায়, পাইথন সোর্স কোড থেকে একটি এক্সিকিউটেবল পাইথন কোড তৈরি করতে মোট ৩ টি ধাপ অতিক্রম করে :
-
ধাপ 1: প্রথম ধাপে, পাইথন কম্পাইলার একটি সোর্স কোড রিড করে এবং পরীক্ষা করে ।
-
ধাপ 2: কোডে যদি কোন ত্রুটি না থাকে, তাহলে কম্পাইলার এটিকে ” বাইট কোড ” নামে একটি মধ্যবর্তী ভাষায় ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করে ।
-
ধাপ 3: পরবর্তীতে বাইট কোডটিকে পাইথন ভার্চুয়াল মেশিনে (PVM) পাঠানো হয়, যা পাইথন ইন্টারপ্রেটার নামে পরিচিত । PVM পাইথন বাইট কোডকে মেশিন-এক্সিকিউটেবল কোডে কনভার্ট করে ।