খনিজ লবণের প্রধান উৎস হলো সমুদ্র। সমুদ্রের জলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ প্রায় ৯০%। এছাড়াও সমুদ্রের জলে অন্যান্য খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, পটাসিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদিও থাকে। সমুদ্রের জল থেকে লবণ উৎপাদন করার জন্য প্রথমে সমুদ্রের জলকে বাষ্পীভূত করা হয়। বাষ্পীভূত হওয়ার ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং শেষ পর্যন্ত তা লবণ হিসেবে জমা হয়।
খনিজ লবণের আরেকটি প্রধান উৎস হলো রক লবণ। রক লবণ হলো একটি খনিজ যা সোডিয়াম ক্লোরাইডের সমন্বয়ে গঠিত। রক লবণ সাধারণত ভূগর্ভস্থে পাওয়া যায়। রক লবণ থেকে লবণ উৎপাদন করার জন্য প্রথমে রক লবণকে খনন করে বের করা হয়। এরপর রক লবণকে বায়ুতে উন্মুক্ত করে বাষ্পীভূত করা হয়। বাষ্পীভূত হওয়ার ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং শেষ পর্যন্ত তা লবণ হিসেবে জমা হয়।
বাংলাদেশে খনিজ লবণের প্রধান উৎস হলো সমুদ্র। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি লবণ কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলিতে সমুদ্রের জল থেকে লবণ উৎপাদন করা হয়।
খনিজ লবণের অন্যান্য উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
লবণ হ্রদ
-
ভূগর্ভস্থ লবণ ঝর্ণা
-
লবণ খনন করা
এই উৎসগুলি থেকেও খনিজ লবণ উৎপাদন করা হয়।