পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া) সাধারণত পেটের ইনফেকশন, খাদ্যে অ্যালার্জি, পানিশূন্যতা বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। দ্রুত কার্যকর ঔষধের পাশাপাশি হাইড্রেশন এবং সঠিক যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু দ্রুত কার্যকর ঔষধ ও পরামর্শ দেওয়া হলো:
দ্রুত কার্যকর ঔষধ
-
ওআরএস (ORS):
-
পাতলা পায়খানার সময় শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে ওআরএস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
-
বাজারে পাওয়া রেডিমেড ওআরএস প্যাকেট পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
-
ঘরে তৈরি করার জন্য: ১ লিটার পানিতে ৬ চা চামচ চিনি এবং ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
-
জিঙ্ক ট্যাবলেট:
-
জিঙ্ক ট্যাবলেট (10-20 mg) ডায়রিয়া কমাতে কার্যকর। এটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
লোপেরামাইড (Loperamide):
-
দ্রুত পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
-
তবে এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি ইনফেকশন থাকলে সমস্যার জটিলতা বাড়াতে পারে।
-
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole):
-
পেটের ব্যাকটেরিয়া বা প্রোটোজোয়া ইনফেকশন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
রেসিক্যাডোট্রিল (Racecadotril):
-
এটি একটি অ্যান্টি-সিক্রেটরি ঔষধ, যা ডায়রিয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা
-
ইসবগুলের ভুষি:
-
পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পাতলা পায়খানা কমতে পারে।
-
মুড়ি ও কলা:
-
মুড়ি এবং পাকা কলা খাওয়া ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
-
দই:
-
প্রোবায়োটিক হিসেবে দই পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
-
পানীয়:
-
ডাবের পানি বা লবণ-চিনির শরবত পান করুন।
যখন ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন
-
যদি পাতলা পায়খানা ২-৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয়।
-
বেশি জ্বর বা রক্তযুক্ত পায়খানা হলে।
-
অতিরিক্ত দুর্বলতা বা পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে।
পাতলা পায়খানার ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন নেওয়া এবং পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঔষধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।