ইযহার শব্দের অর্থ প্রকাশ করা। আরবি ভাষায় "ইযহার" শব্দের মূল অর্থ হল "প্রকাশ করা", "স্পষ্ট করা", "খোলাসা করা"। তাজবীদে,নুন সাকিন ও তানবীন-এর পর যদি হরফে হালকির যেকোনো একটি হরফ থাকে তখন নূন সাকিন বা তানবীনকে নিজ মাখরাজ অনুসারে স্পষ্ট করে পড়াকে ইযহার বলে।
ইযহারের হরফ মোট ১৫টি। যথা:
-
হরফে হালকা:
-
أ
-
ب
-
ت
-
ث
-
ج
-
ح
-
خ
-
د
-
ذ
-
ر
-
ز
-
س
-
ش
-
ص
-
ض
ইযহারের উদাহরণ:
-
নুন সাকিন:
-
নুন সাকিন-এর পর হরফে হালকা থাকলে ইযহার হবে। যেমন:
-
قَالَ (ক্বআলা)
-
مَنْ (মান)
-
رَبُّكُمْ (রব্বুকুম)
-
তানভীন:
-
তানভীন-এর পর হরফে হালকা থাকলে ইযহার হবে। যেমন:
-
سَلَامٌ (সালাম)
-
قُلْ (কুল)
-
قُلْ (কুল)
ইযহারের নিয়ম:
-
নুন সাকিন বা তানবীন-এর পর যদি হরফে হালকা থাকে তাহলে নূন সাকিন বা তানবীনকে নিজ মাখরাজ অনুসারে স্পষ্ট করে পড়তে হবে। যেমন:
-
قَالَ (ক্বআলা)
-
ق-এর মাখরাজ হল তালুত। তাই "قَالَ" শব্দে নুন সাকিনকে তালুত মাখরাজ অনুসারে স্পষ্ট করে পড়তে হবে।
-
مَنْ (মান)
-
م-এর মাখরাজ হল ফাখ। তাই "مَنْ" শব্দে নুন সাকিনকে ফাখ মাখরাজ অনুসারে স্পষ্ট করে পড়তে হবে।
ইযহারের গুরুত্ব:
-
ইযহার সঠিকভাবে পড়ার মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত সুন্দর ও অর্থপূর্ণ হয়।
-
ইযহারের মাধ্যমে কুরআনের সঠিক অর্থ বুঝতে সহায়তা পাওয়া যায়।
-
ইযহারের মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে সৌন্দর্য ও মাধুর্য্য বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, কুরআন তেলাওয়াত সঠিকভাবে ও সুন্দরভাবে করার জন্য ইযহারের নিয়মগুলো সঠিকভাবে জানা এবং অনুশীলন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।