ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
262 বার দেখা হয়েছে
"জীব বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

এনজাইম এক প্রকার জৈব অনুঘটক। এটি জীবদেহে বিভিন্ন বিক্রিয়ার হারকে তরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার পর নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে। একে জৈব প্রভাবকও বলা হয়।

এনজাইম সাধারণত প্রোটিন দ্বারা গঠিত হয়। তবে, রাইবোজাইম এবং ডিএনএজাইম হল আরএনএ এবং ডিএনএ দ্বারা গঠিত এনজাইম।

এনজাইমের গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে এনজাইমকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন,

  • অ্যাসিড-বেস এনজাইম: এনজাইমগুলির অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় পরিবেশে কার্যকারিতা থাকে।
  • অক্সিডো-বিজারণ এনজাইম: এনজাইমগুলির জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার হারকে বাড়াতে কার্যকারিতা থাকে।
  • ট্রান্সফারেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির এক অণু থেকে অন্য অণুতে কার্যকরী গোষ্ঠী স্থানান্তর করতে কার্যকারিতা থাকে।
  • লাইসেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির অণুকে ভাঙতে কার্যকারিতা থাকে।
  • লাইগেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির দুটি অণুকে একত্রিত করতে কার্যকারিতা থাকে।

এনজাইম জীবদেহের বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলি খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন, কোষ বৃদ্ধি ও বিভাজন, রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এনজাইমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল:

  • খাদ্য শিল্পে: খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করা ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
  • ঔষধ শিল্পে: ওষুধ তৈরি, ওষুধের কার্যকারিতা উন্নত করা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করা ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
  • কৃষি শিল্পে: সার তৈরি, কীটনাশক তৈরি, জৈব সার তৈরি ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
  • পরিবেশ রক্ষায়: পানি পরিশোধন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
এনজাইম বা উৎসেচক হলো এমন একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা জীবদেহের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বিক্রিয়া শেষে এই সকল পদার্থ নিঃশোষিত হয় না। এরা তার আগের অবস্থায় ফেরত যায়, অর্থাৎ এরা পরবর্তী বিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। একটি নির্দিষ্ট Enzyme একটি নির্দিষ্ট বিক্রিয়াতেই সাহায্য করতে পারে। গাঠনিক দিক থেকে এরা মূলতঃ প্রোটিন। Enzyme এর অপর নাম হলো উৎসেচক বা জৈব অনুঘটক। উদাহরণ: এমাইলেজ, লাইপেজ, ট্রিপসিন, টায়ালিন ইত্যাদি। উৎপত্তিস্থল: Enzyme নানা রকমের কোষ কিংবা টিস্যু থেকে উৎপন্ন হতে পারে। কিছু বহিঃক্ষরা গ্রন্থিও এদের নিঃস্বরন করে থাকে। যেমনঃ আইলেটস অব ল্যাংগারহ্যান্স। পরিপাকের সাথে সম্পর্কিত উৎসেচক তৈরি হয় পাকস্থলি ও ক্ষুদ্রান্তে এবং শক্তি উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত Enzyme গুলো তৈরি হয় মাইটোকন্ড্রিয়ায়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর
22 মার্চ, 2021 "জীব বিজ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Redowan
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
12 মে, 2020 "জীব বিজ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন রাফাত
1 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2019 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Admin
1 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2019 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Admin
1 টি উত্তর

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
12 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 12 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 7847
গতকাল ভিজিট : 31773
সর্বমোট ভিজিট : 51911956
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...