CFC হল ক্লোরোফ্লোরোকার্বন বা হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন। এগুলো হল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে হ্যালোজেন সংযোগ বিক্রিয়া হাইড্রোকার্বন যাতে কার্বন, হাইড্রোজেন, ক্লোরিন এবং ফ্লোরিন থাকে।
CFC-এর অনেকগুলি ব্যবহার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে
-
ফোম তৈরিতে
-
দ্রাবক হিসেবে
-
পতঙ্গনাশক হিসেবে
-
আগুন নিভানোর কাজে
CFC-এর একটি প্রধান সমস্যা হল এটি ওজোন স্তরকে ক্ষতি করে। ওজোন স্তর হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর যা সূর্য থেকে ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। CFC-এর ক্ষুদ্র অণুগুলি ওজোন অণুগুলিকে ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যায়। ওজোন স্তরের ক্ষতি সূর্য থেকে অতিবেগুনী রশ্মির বৃদ্ধি ঘটায়, যা ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে।
CFC-এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে 1987 সালে মন্ট্রিল প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে CFC-এর উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস করার জন্য বিশ্বের দেশগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে CFC-এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর CFC বিধিমালা জারি করেছে। এই বিধিমালায় CFC-এর উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
CFC-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য CFC-এর বিকল্প হিসেবে অন্যান্য পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন,শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে CFC-এর পরিবর্তে হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (HFC) ব্যবহার করা হচ্ছে।