মানুষ মরে কেন এবং মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায় এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান এবং ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে আলাদা।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, মানুষ মরে কারণ শরীরের কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের কোষগুলি নিয়মিতভাবে ভেঙে যায় এবং নতুন কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। কিন্তু কিছু সময়ের পরে, কোষগুলি আর নতুন কোষ তৈরি করতে পারে না এবং শরীরের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। এর ফলে মৃত্যু ঘটে।
মানুষের মৃত্যুর জন্য বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন:
-
বয়সের কারণে
-
রোগের কারণে
-
আঘাতের কারণে
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে
-
অপঘাতের কারণে
ধর্মের দৃষ্টিকোণ
ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে, মানুষ মরে কারণ তার আত্মার পরিপূর্ণতা অর্জন করতে হয়। আত্মা হল মানুষের অমর অংশ। মৃত্যুর পরে, আত্মা একটি নতুন দেহে জন্মগ্রহণ করতে পারে বা অন্য কোন জগতে যেতে পারে।
ধর্মগুলি মৃত্যুর পরে আত্মার পরিণতির বিভিন্ন ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ইসলামে বিশ্বাস করা হয় যে মৃত্যুর পরে, আত্মা কবরে যায় এবং সেখানে বিচারের জন্য অপেক্ষা করে। বিচারের দিন, আত্মাকে জান্নাত বা নরকে পাঠানো হবে।
হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে মৃত্যুর পরে, আত্মা পুনর্জন্ম লাভ করে। আত্মা তার কর্মের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন দেহে জন্মগ্রহণ করে।
বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে মৃত্যুর পরে, আত্মা নিরোধের দিকে অগ্রসর হয়। নিরোধ হল দুঃখ, দুঃখ এবং আকাঙ্ক্ষার অবসান।
মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায়
মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায় এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর নেই। এটি ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
যারা আত্মার অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন তারা মনে করেন যে মৃত্যুর পরে আত্মা একটি নতুন দেহে জন্মগ্রহণ করে বা অন্য কোন জগতে যায়। যারা আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন তারা মনে করেন যে মৃত্যুর পরে মানুষ আর কিছুই থাকে না।
মানুষের মৃত্যু একটি রহস্য। বিজ্ঞান এখনও মৃত্যুর প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেনি। ধর্মগুলি মৃত্যুর পরে আত্মার পরিণতির বিভিন্ন ধারণা দেয়, কিন্তু কোন ধারণাটি সত্য তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।