চাশতের নামাজ (বা নামাজে চাশত) হলো একটি নফল (ইচ্ছামত করা) নামাজ যা সূর্যোদয়ের পরে কিছু সময় পর এবং মধ্যাহ্ন (যোহর) নামাজের আগে পড়া হয়। এটি ইসলামী শরিয়তে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষভাবে পুরস্কৃত নামাজ হিসেবে বিবেচিত।
চাশতের নামাজের ফজিলত বা মর্যাদা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা:
1. প্রতিটি অঙ্গের জন্য সাদকাহ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "প্রতিটি মুসলমানের জন্য প্রতিদিন তার প্রতিটি অঙ্গের জন্য সাদকাহ (দান) দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে।" সাহাবীরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, "হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য কীভাবে সাদকাহ দেয়া সম্ভব?" তখন রাসূল (সা.) বলেছেন, "প্রতিদিন দু'টি রাকাত নামাজ (চাশতের নামাজ) পড়ো, এতে তোমরা সাদকাহ দিবে।" (সহীহ মুসলিম)
2. জাহান্নাম থেকে রক্ষা: চাশতের নামাজ মানুষের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির এক মাধ্যম হতে পারে। এটা আল্লাহর কাছে এক ধরনের তৌফিক এবং নেক আমল হিসেবে গণ্য হয়।
3. সুবিধা এবং বরকত: চাশতের নামাজ একজন মুসলমানের জীবনে শান্তি, সুখ এবং বরকত নিয়ে আসে। এটি বিশেষত ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি: চাশতের নামাজের জন্য মহান আল্লাহ্ পরবর্তীতে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নামাজের সময়কাল: চাশতের নামাজ সূর্যোদয়ের পর থেকে প্রায় দুপুরের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় পড়া যায়, তবে এটি সর্বোত্তম যখন সূর্য উঁচু হতে শুরু করে, অর্থাৎ প্রায় ১০-১৫ মিনিট পরে।
চাশতের নামাজের সংখ্যা: এটি সাধারণত ২ রাকাত বা ৪ রাকাত নামাজ হিসেবে পড়া হয়, তবে একে ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়ার সুন্নতও রয়েছে।
এছাড়া, এটি সহজ এবং সুস্পষ্ট উপায়ে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি সুযোগ।