যক্ষা একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যক্ষ্মা রোগীর হাঁচি, কাশি, কথা বলা, গান গাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে যক্ষা রোগ হতে পারে।
যক্ষা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
-
বিসিজি টিকা: বিসিজি টিকা যক্ষা রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। জন্মের পরপর প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া উচিত।
-
যক্ষ্মা রোগীর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এড়িয়ে চলা: যক্ষ্মা রোগীর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করলে যক্ষা রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই যক্ষ্মা রোগীকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
-
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা: হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করলে রোগের জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
-
যক্ষ্মা রোগীর কফ-থুথু নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলা: যক্ষ্মা রোগীর কফ-থুথু নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে তা মাটিতে পুঁতে ফেলা উচিত।
-
পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া: পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই যক্ষ্মা প্রতিরোধে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে যক্ষা রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি যক্ষা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে:
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে যক্ষ্মা রোগের মতো গুরুতর রোগের সঠিক সময়ে ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
-
ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন ত্যাগ করা: ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যক্ষা প্রতিরোধে ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন ত্যাগ করা উচিত।
-
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যক্ষা প্রতিরোধে মানসিক চাপ কমানো উচিত।
যক্ষ্মা একটি মারাত্মক রোগ। কিন্তু সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যক্ষা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।