ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
259 বার দেখা হয়েছে
"ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
কিছু ঘটনার কারণে কূফার প্রসিদ্ধ প্রাসাদ দারুল ইমারাকে "অপয়া" বলে মনে করা হয়। ঘটনাপ্রবাহ কিছুটা এমন - 

আব্দুল মালিক ইবনে উমাইর কূফী বর্ণনা করে বলেন যে, যে সময় হযরত মুস'আব ইবনে যুবাইর রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু এর কর্তিত মস্তক আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের সামনে এনে রাখা হলো, তখন আমি আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নিকট কূফার প্রসিদ্ধ প্রাসাদ 'দারুল ইমারা'য় ছিলাম। হঠাৎ আব্দুল মালিক আমাকে কম্পমান দেখে বললেন, তোমার কী হলো? (তুমি ভয়ে কাঁপছো কেনো? কার ভয়ে বা কিসের ভয়ে তুমি এভাবে কাঁপছো?) আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুন, আমি একবার এই প্রাসাদের এই স্থানে উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের সঙ্গে ছিলাম। তখন আমি এখানে হযরত হুসাইন ইবনে আলী রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু এর কর্তিত মস্তক উবায়দুল্লাহর সামনে দেখেছি। আর একবার আমি এই প্রাসাদে মুখতার ইবনে আবূ উবাইদ ছাকাফীর সঙ্গে ছিলাম। তখন তার সামনে উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের কর্তিত মস্তক দেখেছি। পুনরায় একবার এখানে মুস'আব ইবনে যুবাইরের সঙ্গে ছিলাম। তখন তার সামনে মুখতার ইবনে আবূ উবাইদ এর কর্তিত মস্তক দেখেছি। এখন দেখছি মুস'আব ইবনে যুবাইরের কর্তিত মস্তক আপনার সামনে। আব্দুল মালিক ইবনে উমাইর বলেন, এটা শোনা মাত্রই আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান সে স্থান থেকে তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালেন এবং আমরা যে মেহরাবে ছিলাম সে মেহরাবটি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। 

শিক্ষাঃ- প্রকৃতপক্ষে ইসলামে কু-লক্ষণ, অশুভ বা অপয়া বলতে কিছু নেই। শুভ-অশুভ আল্লাহই সৃষ্টি করেন। বুখারী ও মুসলিমসহ বিভিন্ন সহীহ হাদীসগ্রন্থে হযরত আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, "ঘোড়া, নারী এবং বাড়ী - এই তিনটি জিনিসে অপয়তা বিদ্যমান"। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, কোনো কোনো ঘোড়া, স্ত্রী ও বাড়ী অপয়া হয়। এ সম্বন্ধে অধিকাংশ আলেমের অভিমত হলো, এ ধারণা জাহেলিয়াতের যুগে ছিল। আর হযরত আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু যে হাদীস বর্ণনা করেছেন সে সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহা বলেন, যে মজলিসে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীস ইরশাদ করেছেন, সেই মজলিসে হযরত আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু বিলম্বে আসায় এর প্রথমাংশ শুনেন নি। এর প্রথমাংশ হলো - আল্লাহ্ তা'য়ালা ইয়াহুদী ও নাসারাদের ধ্বংস করুন, তারা বলে তিন জিনিসে অপয়তা বিদ্যমান, ঘোড়া, নারী এবং বাড়ী। 

তবে, অশুভ-এর কারণে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি ঘর ত্যাগ করার হাদীসের উত্তর হলো- এর দ্বারা মূলত মানুষের মনে বদ্ধমূল কুধারণা দূরীভূত করা উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা শিরকে খফীতে (গোপন শিরকীতে) লিপ্ত না হয়।

 উল্লেখ্য, কোনো কোনো শব্দ বা বস্তু তার সু-অর্থের দরুন মঙ্গল অর্থ বহন করে। সেক্ষেত্রে সেসবের নেক ফল বা সু-অর্থ বা সুলক্ষণ উদ্দেশ্য নেওয়া বৈধ। যেমন- কোনো আবেদনকারী কারো থেকে হে ওয়াজিদ! বা হে নাজীহ! ডাক শুনল, আর এর দ্বারা সে নিজের মতলব সিদ্ধির বা সফলতা লাভের ফাল (সুলক্ষণ) উদ্দেশ্য নিল, এটা বৈধ।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
3 ডিসেম্বর, 2022 "ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Badshah
1 টি উত্তর
22 ডিসেম্বর, 2021 "ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
19 অক্টোবর, 2021 "ইসলামের ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
7 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 7 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 8600
গতকাল ভিজিট : 17493
সর্বমোট ভিজিট : 51880955
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...