BTS (Bangtan Sonyeondan) একটি কোরিয়ান পপ (K-pop) গ্রুপ, যারা বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। তাদের গান, নাচ, স্টাইল এবং ব্যক্তিত্ব অনেকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, ইসলাম অনুযায়ী, কোনো গায়িকা বা গায়ক, বিনোদনমূলক শিল্পী, বা যে কোনো ব্যক্তিত্বের অনুসরণ করা বা তাদের পদ্ধতি মেনে চলা কিছু ক্ষেত্রে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নাতীত হতে পারে, বিশেষত যদি সেটা ইসলামের মৌলিক নীতি বা আদর্শের বিরোধী হয়।
ইসলাম অনুযায়ী কিছু দিক:
1. ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সন্মান: ইসলামে ধর্মীয় নীতির প্রতি অবিচল থাকার গুরুত্ব রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যদি ইসলামিক শিক্ষা বা আদর্শের বিরুদ্ধে কিছু প্রচার করে (যেমন অশ্লীলতা, মদ্যপান, অবিশ্বাস, অনৈতিক আচরণ) তবে তাদের অনুসরণ করা ঠিক হবে না।
2. আল্লাহ এবং রসূলের প্রতি ভালোবাসা: মুসলিমদের কাছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং আনুগত্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা যদি ইসলামের মূল বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তবে তা ইসলামিক দৃষ্টিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
3. অশ্লীলতা এবং নৈতিকতা: কিছু BTS এর গানে বা ভিডিওতে অশ্লীলতা বা অনৈতিকতা থাকতে পারে (যেমন, অশ্লীল পোশাক, অঙ্গভঙ্গি, বা এমন কোনো বিষয় যা ইসলামের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়)। এই ধরনের বিষয়গুলোর থেকে দূরে থাকা উচিত।
ঈমানের উপর প্রভাব:
BTS বা অন্য কোনো বিনোদনমূলক গ্রুপের অনুসরণ করলে, যদি আপনি তাদের মানসিকতা, জীবনধারা বা আদর্শ গ্রহণ করেন যা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক, তা আপনার ঈমান বা বিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, শুধুমাত্র তাদের গান শোনা বা কিছু সময় তাদের পছন্দ করা, যদি আপনি আপনার ঈমান ও নৈতিকতা রক্ষা করেন এবং ইসলামী মূলনীতি অনুসরণ করেন, তাহলে সেটা আপনার ঈমান নষ্ট করবে না।
তবে, সঠিক দিক হলো, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিনোদন এবং শিল্পের প্রতি আপনার মনোভাব ও আচরণ ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী হওয়া উচিত। আপনি যদি BTS বা অন্য কোনো গ্রুপের অনুসরণ করেন, তবে আপনার বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং ইসলামিক শর্তাবলী ধরে রেখে সেটা করা উচিত।