ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
118 বার দেখা হয়েছে
"নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে করেছেন
১৯ তারিখ পিরিয়ড ডেট ছিল,২০ তারিখ পিল খাওয়ানো হয়,যেহুতু এখনো পিরিয়ড হয়নি,তাহলে আর কতদিন অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখানো উচিত?

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

পিরিয়ড ডেট পার হয়ে গেলে কখন ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন তা নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর। সাধারণত, পিরিয়ডের দেরি হওয়া সবসময় গুরুতর সমস্যা বোঝায় না, তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


১. সাধারণ পরিস্থিতিতে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন নেই যদি:

  • ১-২ সপ্তাহের জন্য দেরি হয়।
  • সাময়িক স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এর কারণে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
  • গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই এবং আগে থেকে মাসিক অনিয়মিত থাকার ইতিহাস আছে।

২. জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার দেখাতে হবে যদি:

ক. গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে:

  • পিরিয়ড ডেট পার হওয়ার পর গর্ভধারণের লক্ষণ:
    • বমিভাব বা বমি।
    • স্তন ফোলা বা কোমলতা।
    • ক্লান্তি বা ঘুম বেশি আসা।
    • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন।
  • টেস্টে পজিটিভ হলে ডাক্তার দেখান।

খ. গর্ভধারণ না হলেও সমস্যার লক্ষণ থাকলে:

  1. তীব্র ব্যথা বা পেটের নিচের অংশে চাপ:
    • ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সির (জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ) লক্ষণ হতে পারে।
  2. দীর্ঘমেয়াদী অনিয়মিত মাসিক:
    • হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) বা থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  3. রক্তক্ষরণ বা দাগ লাগা (Spotting):
    • অসম্পূর্ণ গর্ভপাত বা জরায়ুর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
  4. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা চুল পড়া:
    • PCOS বা হরমোনাল সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  5. রক্তাল্পতা বা দুর্বলতা:
    • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দীর্ঘদিন মাসিক না হওয়ার কারণে রক্তস্বল্পতা হতে পারে।

গ. দীর্ঘ সময় মাসিক না হলে:

  • যদি ৩ মাসের বেশি সময় পিরিয়ড না হয় এবং গর্ভধারণ না হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
  • এটি প্রজনন সমস্যার (Infertility) লক্ষণ হতে পারে।

৩. কী পরীক্ষা দরকার হতে পারে?

ডাক্তার সাধারণত নিম্নলিখিত পরীক্ষা করে থাকেন—

  1. প্রেগন্যান্সি টেস্ট (Blood বা Urine Test): গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে।
  2. আল্ট্রাসাউন্ড: জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের অবস্থা যাচাই করতে।
  3. হরমোন পরীক্ষা: থাইরয়েড, প্রোল্যাকটিন, এস্ট্রোজেন, এবং প্রজেস্টেরনের ভারসাম্য নির্ণয় করতে।
  4. প্যাপ স্মিয়ার: জরায়ুর ক্যান্সারের সম্ভাবনা পরীক্ষা করতে।

৪. উপসংহার:

পিরিয়ড ডেট পার হওয়ার পর যদি গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে বা অন্যান্য অসুবিধাজনক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। স্বাভাবিক দেরি হলে সাধারণত চিন্তার কারণ নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
29 ডিসেম্বর, 2024 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল

36,000 টি প্রশ্ন

35,255 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,753 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
4 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 4 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 13676
গতকাল ভিজিট : 11577
সর্বমোট ভিজিট : 51868543
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...