সহজেই প্রেগন্যান্ট হওয়ার ৫টি টিপসঃ~
১) ফার্টাইল পিরিয়ড হিসাব করে সেই সময়ে সহবাসের চেষ্টা করুন। এটা সবথেকে কার্যকর যাদের মাসিক চক্র ২২-৩৫ দিনের মধ্যে নিয়মিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মাসিকের ১৩-১৭ তম দিনে সহবাস করুন৷
মাথায় রাখতে হবে যে একজন সুস্থ,স্বাভাবিক স্বামী ও স্ত্রী তারা যদি ৬-১২ মাস পর্যন্ত প্রোটেকশন ছাড়াই সহ-বাস করে তাদের ক্ষেত্রেও কনসিভ করার চান্স মাত্র ২০-২৫%, যেটা স্বাভাবিক। মনে রাখবেন কনসিভ করার জন্য সহবাসের পজিশন বা মেয়েদের অর্গাজম হওয়াটা জরুরী নয়।
২) দেহকে কনসিভ করার জন্য উপযোগী করে তোলাঃ
*ডায়েটঃ ফ্রেশ ফল ও সবজী যেসব মেয়েরা খেয়ে থাকে তাদের কনসিভ করার হার যারা প্যাকেজিং, প্রসেসেড খাবার খায় তুলনামূলক তাদের থেকে অনেক বেশি।
*ওজনঃ কনসিভ করার জন্য যাদের ওজন বেশি আছে সেটাকে আগে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে কেননা ওভারওয়েট অনেক ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়মিত করে যেটা পরে কনসিভ করতে সমস্যার কারণ হয়।
*কফি বা ক্যাফেইনঃ এটা এড়িয়ে চলাই উত্তম। তবে প্রতিদিন ২০০মিলিগ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে সর্বোচ্চ, এর বেশি নয়।
*ধূমপান বা মাদকদ্রব্য একেবারেই গ্রহণ করা যাবে না।
*নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে হবে, এক্সারসাইজও করা যেতে পারে।
৩)কনসিভ পূর্ববর্তী কাউন্সিলিংঃ অবশ্যই এজন্য একজন গাইনিবিশেষজ্ঞকে দেখাবেন। আমাদের দেশে এটা একদমই গুরত্বের সাথে দেখেন না কিন্তু এটা করা খুবই জরুরি কনসিভের পূর্বে।
৪)ভিটামিনঃ কনসিভ করার অন্তত ৩ মাস পূর্বে থেকে ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে দিনে ৫মিলিগ্রাম করে।
ভিটামিন ডি প্রতিদিন ৪০০-৮০০IU করে।
৫)স্ট্রেস বা চিন্তা, চাপ মুক্ত থাকতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে।