বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ সকালে একটা করে আপেল খেলে উপকার পাবেন। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, উপোস ভাঙার পরও কিন্তু ফল বা ফলের রস খাওয়া হয়। সুতরাং, খালি পেটে আপেল খেলে কখনই আপনার শরীর খারাপ হবে না। চিকিৎসকরা সবসময় বলেন সকালে খালি পেটে আপেল খেতে। কারণ আপেলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন। এছাড়া আপেলে কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়। সকালে আপেল খেলে সারাদিন শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপেল খেলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকার হয় জেনে নিন।
পুষ্টি উপাদানে ভরপুর আপেল
আপেল ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। যখন খালি পেটে আপেল খাওয়া হয়, তখন শরীর সহজেই আপেলে উপস্থিত এই সমস্ত পুষ্টি শুষে নেয়। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ হয়, একটি মাঝারি আকারের আপেলে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সিও থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি আপেল খেয়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারেন। আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যারা ওজন কমাতে চান, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১টি করে আপেল খেতে পারেন। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্ল্যাভোনয়েড পলিমার। যার কারণে ওজন কমানোর জন্য আপেল আদর্শ ফল। খোসা সমেত আপেল খেলে বেশি উপকার পাবেন। আপেল রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে অকারণ খিদে পায় না।
খালি পেটে আপেল খেলে হার্টও সুস্থ থাকে। আপেলে উপস্থিত ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম, এই উপাদানগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিমাণ মতো আপেল খেলে ২০ শতাংশ স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। ২৫ গ্রাম আপেল অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ টুকরো আপেল প্রতিদিন খেলে ৯ শতাংশ স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে।
আপেল সবসময় খোসা-সহ খেতে হবে। খালি পেটে খোসা-সহ আপেল খেলেও শরীর ফোলা কমাতে সাহায্য করে। আপেলের খোসায় থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড কোয়ারসেটিন, যা শরীরে প্রদাহ কমায়। তাই শরীরের কোথাও ফোলাভাব থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপেল খাওয়া উচিত। সুস্থ থাকতে হলে সকালে চায়ের কাপের পরিবর্তে একটি আপেল তুলে নিন। এতে যেমন আপনার এনার্জি বাড়বে তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকার পাবেন। বলা হয়, সুস্থ শরীরের জন্য চাই সুন্দর মন। আর আপনার শরীর যদি সুস্থ থাকে তবে মনও ভালো থাকবে। কাজকর্মে উদ্যম ধরে রাখতে পারবেন।