#পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত, যা cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্দেশ করে শতকরা কত ভাগ বিদ্যুৎ আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি। একটিভ পাওয়ার কিলোওয়াট (KW) এ পারিমাপ করা হয় এবং এ্যাপারেন্ট পাওয়ার ভোল্ট- অ্যাম্পিয়ার (VA)এ পরিমাপ করা হয়। এখানে একটিভ পাওয়ার হল যতটুকু বিদ্যুৎ ক্ষমতা আমরা ব্যবহার করতে পারি, এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ার হল মোট শক্তি যা একটিভ পাওয়ার আর রিএকটিভ পাওয়ারের যোগফল। পাওয়ার ফ্যাক্টর যত বেশি হবে, একটিভ পাওয়ার তত বেশি হবে এবং রিএকটিভ পাওয়ার তত কম হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিদ্যুৎ অপচয় কমে যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবহারের খরচ কমে যায়। পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিগুলোকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়: সক্রিয় পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে রিএকটিভ পাওয়ার উৎসগুলোকে কমানো বা দূর করা হয়। এর ফলে একটিভ পাওয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত হয়। সক্রিয় পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে: ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার: ক্যাপাস ব্যাংক ব্যবহার করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের পরিমাণ কমানো হয়। সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার: সিংক্র মোটর ব্যবহার করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের পরিমাণ কমানো হয়। প্যাসিভ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে রিএকটিভ পাওয়ারের প্রভাব কমানো হয়। এর ফলে একটিভ পাওয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত হয়। প্যাসিভ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে: ফিল্টার ব্যবহার: ফিল্টার ব্যবহার করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের প্রভাব কমানো হয়। লোড সামঞ্জস্যকরণ: লো সামঞ্জস্যকরণ করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের প্রভাব কমানো হয়। পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবহারের প্রকৃতির উপর। বাংলাদেশে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন: বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের পরিমাণ কমানো হচ্ছে। সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার: শিল্প কারখানায় সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের পরিমাণ কমানো হচ্ছে। লোড সামঞ্জস্যকরণ: বিদ্যুৎ গ্রাহকদের লোড সামঞ্জস্য করে লাইনে রিএকটিভ পাওয়ারের প্রভাব কমানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলোর ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত হচ্ছে।