প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটলেও অপরাধ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়নি তার জন্য কয়েকটি কারণ রয়েছে:
1. প্রযুক্তির অপব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্মার্টফোন, অপরাধীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সাইবার অপরাধ, হ্যাকিং, ডেটা চুরি, ডিজিটাল প্রতারণা ইত্যাদি অপরাধ প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও দ্রুত ও সহজে করা সম্ভব হচ্ছে।
2. শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব: প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ প্রবণতা রোধ করার জন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা ও সচেতনতা। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নয়, ফলে তারা অপরাধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে।
3. আইন ও নীতিমালার অভাব: প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে আইনি কাঠামো ঠিকভাবে মানিয়ে উঠতে পারেনি। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক দেশে আইন এখনও পর্যাপ্ত নয়, যা অপরাধীদের শাস্তি ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।
4. সমাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণ: প্রযুক্তির উন্নতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনলেও, মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক পরিবর্তন ঘটেনি। ব্যক্তিগত লাভ ও স্বার্থের জন্য অপরাধমূলক কাজের প্রবণতা অনেকসময় বৃদ্ধি পায়।
5. অপরাধীদের সৃষ্টিশীলতা: অপরাধীরা প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অপরাধীরা যেহেতু প্রযুক্তির সঙ্গে সুপরিচিত, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়।
এইসব কারণের কারণে, প্রযুক্তির উন্নয়ন অপরাধ রোধে সহায়ক হলেও তা এককভাবে অপরাধ প্রবণতা কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা, শিক্ষার প্রসার, প্রযুক্তিগত নজরদারি ও আইনি কাঠামোর শক্তিশালী করা প্রয়োজন।