ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল,
পেশাব করার পর শুধু সামান্য স্থান ধৌত করা হয়। আর বীর্যপাতের পর সমস্ত শরীর ধৌত করতে হয়।
এর কারণ কি? অথচ নির্গত পেশাবের চেয়ে নির্গত
মনী বা বীর্যের পরিমান খুবই কম।
উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ
পেশাব নির্গত হয় শরীরের নির্দিষ্ট একটি অংশ
থেকে। আর মনী অল্প হলেও তা বের হয়
শরীরের সকল অংশ থেকে। সুতরাং মনী বের
হওয়ার পর গোসল করাই অধিক যুক্তি সংগত।
মনী বের হওয়ার পর শরীর দূর্বল হয়। আর
গোসলের মাধ্যমে সেই দূর্বলতা কেটে যায়
এবং শরীর শক্তিশালী হয়। এ বিষয়টি খুবই বোধগম্য।
বীর্যপাতের পর শরীর ভারী হয়ে যায়।
আর গোসলের মাধ্যমে তা পাতলা হয়।
আবু যার (রাঃ)
একদা জানাবাতের তথা অপবিত্রতার গোসল করার পর বললেনঃ
এখন আমার উপর থেকে একটি বোঝা
সরিয়ে ফেলা হল।
বিজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেনঃ
স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা শরীর ও
মনের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমাদেরকে
স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করার আদেশ
দেয়া
হয়েছে।
আল্লাহই অধিক ভাল জানেন।