অনেক মাছকে মনে হয় তারা মাঝে মাঝে তন্দ্রাচ্ছন্ন আছে । তারা কম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে, তাদের হৃদস্পন্দন মন্থর হয় এবং সামগ্রিক চলাফেরা সীমিত হয়। কিন্তু এই বিশ্রাম মানুষের চোখ বন্ধ করার মতো নয়। মাছ আসলে তাদের চোখ বন্ধ করতে পারে না - তাদের কোন চোখের পাতা নেই।
দ্বিতীয়ত, মাছ এবং মানুষের মধ্যে একটি বড় স্নায়বিক পার্থক্য রয়েছে। মানুষ যখন ঘুমায় তখন মস্তিষ্কের অঞ্চলগুলি অনেক কম সক্রিয় হয় - বিশেষ করে নিওকর্টেক্সে, যে অঞ্চলটি সবচেয়ে উচ্চ জ্ঞান প্রক্রিয়া করে। কিন্তু মাছের নিওকর্টেক্স নেই, তাই দুটি মস্তিষ্ক তুলনা করা খুবই কঠিন।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন-এর একটি সমীক্ষা অনুসারে, মানুষের মতোই, মাছ হরমোন তৈরি করে যা ঘুমের ধরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলিকে ক্রমাঙ্ক করে।
"এর মানে হল অন্ধকার গুহায় বসবাসকারী মাছ এমনকি যেসব প্রজাতিত বিবর্তনে চোখ হারিয়েছে তারাও নিয়মিত দৈনিক প্যাটার্নে ঘুমাতে পারে।"
প্যারটফিশের মতো প্রজাতি ঘুমানোর আগে নিজেদের চারপাশে একটি মিউকাস ব্যাগ নিঃসরণ করে যেখানে তারা সুরক্ষিত থাকে।