থাইরয়েড রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা সমূহঃ
১. থাইরয়েড আপটেক (Uptake) পরীক্ষাঃ এই পরীক্ষার ন্যূনতম পরিমানে (৫-১০ মাইক্রোকিউরি) রেডিওআয়োডিন রোগীকে মুখে খাওয়ানো হয়। পরবর্তী ২ ঘন্টা ও ২৪ ঘন্টা পর আপটেক যন্ত্রের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা গণনা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রহ্নির কার্যক্ষমতা নির্নয় করা হয়।
২. থাইরয়েড স্ক্যান (Scan): এই পরীক্ষায় ২ মিলিকিউরি টেকনিশিয়াম রোগীর শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া হয এবং ২০ মিনিট পর থাইরয়েড স্ক্যানের মাধ্যমে থাইরয়েডের আকার ও আয়তন, কার্যক্ষমতা, থাইরয়েড জন্মগত সমস্যা এবং অস্ত্রপচারের পর অবশিষ্ট থাইরয়েড টিস্যুর পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। প্ল্যানার গামা ক্যামেরার সাহায্য রোগীর থাইরয়েডের ছবি নেয়া হয়।
৩. আল্ট্রাসনোগ্রাম (Ultrasonogram) থাইরয়েডঃ এই পরীক্ষায় ৫-১০ মেগাহার্জ (MHz) প্রবের মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার ও আয়তন বোঝা যায় এবং গ্রহ্নির গঠনগত ত্রুটিগুলো নির্নয় করা হয়।
৪. থাইরয়েডের হরমোন সমূহের পরীক্ষা: থাইরয়েডের হরমোনসমূহের মধ্যে T3, T4, TSH, FT3, FT4, Tg, TPO I AntiTgAb পরীক্ষাগুলো রক্তের মাধ্যমে দেখা হয়।