ইসলামী শরীয়াহ মতে, যদি একটি কূপে অপবিত্র কিছু পড়ে যায় এবং তা পবিত্র করার প্রয়োজন হয়, তবে তা পবিত্র করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এই ক্ষেত্রে, কূপে নির্ধারিত কোনো বালতি না থাকলে এবং লোকেরা বিভিন্ন আকারের বালতি ব্যবহার করে থাকে, তখন পবিত্রতার জন্য নিচের নির্দেশনা মানা উচিত:
পদ্ধতি:
-
বালতি দ্বারা পানি উত্তোলন:
-
যে বালতি দিয়ে পানি তোলা হবে, তা কূপের সাধারণ ব্যবহৃত বালতির চেয়ে সবচেয়ে বড় আকারের হতে হবে।
-
কারণ, বড় বালতি ব্যবহার করলে পানির বেশি অংশ দ্রুত উত্তোলন করা সম্ভব।
-
পানির পরিমাণ নির্ধারণ:
-
সাধারণত কূপ পবিত্র করার জন্য কূপের পুরো পানি উঠিয়ে ফেলা হয়।
-
যদি তা সম্ভব না হয়, তবে কূপের পানির তিনগুণ উত্তোলন করতে হবে।
উদাহরণ: যদি ধারণা করা হয় কূপে ১০০ লিটার পানি আছে, তবে ৩০০ লিটার পানি উত্তোলন করা উচিত।
-
অপবিত্র বস্তু সরিয়ে ফেলা:
-
যদি কূপে কোনো দৃশ্যমান অপবিত্র বস্তু থাকে, তবে তা আগে সরিয়ে ফেলা আবশ্যক।
-
তারপর পানির উত্তোলন শুরু করতে হবে।
-
কূপের প্রাকৃতিক প্রবাহ:
-
যদি কূপটি এমন হয় যে, পানি স্বাভাবিকভাবে দ্রুত প্রবাহিত হয় বা পুনরায় পূরণ হয়, তবে প্রবাহিত পানির মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
পবিত্র করার পর কূপের পানি স্পষ্টতই পরিষ্কার ও দুর্গন্ধমুক্ত হতে হবে।
-
প্রয়োজনে ইসলামিক ফিকহ বিশেষজ্ঞ বা স্থানীয় মুফতিদের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
শরীয়াহ পরিপালন:
এই ধরনের বিষয় শরীয়াহর বিশদ জ্ঞান অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া উচিত। সঠিকভাবে পবিত্রতার পদ্ধতি নিশ্চিত করতে স্থানীয় আলেম বা মুফতির কাছ থেকে নির্দেশনা নেওয়া উচিত।