কোরআন মাজীদের বহুবিধ শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। তার মধ্য হতে কয়েকটি শ্রেষ্ঠত্ব এইঃ-
১/কুরআন মাজীদের প্রত্যেকটি শব্দ ও বর্ণ সংরক্ষিত, এগুলোর মধ্যে একটি বিন্দু-বিসর্গও কমবেশি হয় নি এবং কিয়ামত পর্যন্ত হতে পারবে না। আর পূর্ববর্তী কিতাবসমূহকে মানুষেরা "তাহরীফ" তথা রদবদল করে ফেলেছে, বিকৃত করে ফেলেছে।
২/ কোরআন মাজীদের আয়াতগুলো এমনই উচ্চমাত্রিক যে, এর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র সূরার অনুরূপ (কোন সূরাও) কোন ব্যক্তি তৈরি করতে সক্ষম হবে না।
৩/ কুরআন মাজীদ সর্বশেষ শরীয়ত তথা ধর্মশাস্ত্রের বিধান নিয়ে এসেছে। এ জন্য এর অনেক বিধান পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের বিধিবিধানকে রহিত করে দিয়েছে।
৪/ পূর্ববর্তী কিতাবগুলো একবারে একত্রে নাযিল হয়েছে। আর পবিত্র কুরআন মাজিদ ২৩ বছর যাবত প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প অল্প করে অবতীর্ণ হয়েছে। ধীরে ধীরে ও প্রয়োজন অনুযায়ী অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এটি মানুষের অন্তরে বসে যেতে থাকে এবং শত শত মানুষ এই কুরআনের বিধান গ্রহণ করে মুসলমান হতে থাকে।
৫/ কুরআন মাজীদ হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মুসলমানের অন্তরে সংরক্ষিত রয়েছে এবং এটি বক্ষ থেকে বক্ষান্তরে স্বয়ং রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোবারক জামানা থেকে আজ পর্যন্ত বরাবর চলে আসছে এবং ইংশা আল্লাহ্ কিয়ামত পর্যন্ত (এমনিভাবে) চলতে থাকবে। এভাবে বক্ষ থেকে বক্ষান্তরে সংরক্ষণের কারণে ইসলামের দুশমনগণ কখনও কুরআন মাজীদে কোন রকম কম-বেশি করতে সুযোগ পায় নি কিংবা একে দুনিয়া থেকে মুছে দিতে সক্ষম হয় নি এবং ইংশা আল্লাহ্ কিয়ামত পর্যন্ত এমন সুযোগ পাবেও না।
৬/ কুরআন মাজীদের হুকুম-আহকাম তথা বিধি-বিধান এমনই ভারসাম্যপূর্ণ যে, সব যুগে সব জাতির জন্য তা উপযোগী। পৃথিবীতে এমন কোন জাতি-সম্প্রদায় নেই যারা কুরআন মাজীদের হুকুম-আহকামের উপর আমল করতে অক্ষম। যেহেতু কুরআন মাজীদের হুকুম-আহকাম সব যুগে এবং সব সম্প্রদায়ের জন্যই উপযোগী, এজন্য কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ হওয়ার পর অন্য কোন শরীয়ত ও আসমানী কিতাবের প্রয়োজনীয়তা অবশিষ্ট থাকে নি এবং (সে কারণেই) মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রেসালাতকে সারা দুনিয়ার জন্য ব্যাপক ও সার্বজনীন করে দেওয়া হয়েছে।