বায়ুমণ্ডলীয় চাপে মানবদেহের আকৃতি পরিবর্তিত হয় না কারণ আমাদের শরীরের ভেতরে এবং বাইরে চাপের একটি ভারসাম্য বিদ্যমান। বায়ুমণ্ডলীয় চাপ হলো পৃথিবীর বায়ুর স্তর থেকে আমাদের শরীরের উপর যে চাপ পড়ে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠে গড়ে প্রায় ১ অ্যাটমোস্ফিয়ার বা ১০১.৩ কিলোপ্যাসকেল (kPa)। এই চাপ প্রতিনিয়ত আমাদের দেহে পড়ে, কিন্তু আমরা তা টের পাই না, কারণ শরীরের ভিতরের রক্ত, কোষ, তরল এবং গ্যাসসমূহও একই রকম চাপে অবস্থান করে।
দেহের বাইরের ও ভিতরের এই চাপ ভারসাম্য থাকায় কোনো দিক থেকেই বাড়তি চাপ পড়ে না, ফলে শরীর চ্যাপ্টা বা ফেটে যায় না। যদি বাইরের বায়ুচাপ হঠাৎ করে অনেক কমে যায় (যেমন উচ্চ আকাশে বা মহাকাশে), তখন এই ভারসাম্য ভেঙে গিয়ে শরীরের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তেমনি অতিরিক্ত বায়ুচাপেও সমস্যা হতে পারে।
তাই স্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে মানবদেহের কোনো দৃশ্যমান বা গঠনগত পরিবর্তন ঘটে না।