সুশাসন বা গুড গভর্নেন্স মূলত একটি পশ্চিমা অভিধা। দেশে সুশাসন ও সুশীল সমাজ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক অনেক ধারণাই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো এবং তাদের পলিসি এজেন্ডা থেকে উদ্ভূত। দাতা সংস্থাগুলো প্রায়ই সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্ত জুড়ে দেয় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। আসলে সুশাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা নেই। সুশাসন মানে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা- বিষয়টিকে এভাবে সরলীকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন থেকে যায়, ভালোভাবে দেশ পরিচালনা বলতে ঠিক কী বোঝায়? সাধারণভাবে কয়েকটি বিষয়কে সুশাসনের মানদণ্ড হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন- মানবাধিকার ও আইনের শাসন, দেশ পরিচালনার বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রক্রিয়া, বহুমুখী অংশীদারিত্ব, রাজনীতিতে নানা মতের চর্চা, একটি দক্ষ ও কার্যকর সরকারি খাত, শিক্ষা, তথ্য ও অন্যান্য জ্ঞান আহরণের সুযোগ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সমতা ও ন্যায়বিচার, দায়িত্বশীলতা, ঐক্য ও সহনশীলতা উৎসাহিত হয় এমন আচরণ ও মূল্যবোধ ইত্যাদি।