270 বার দেখা হয়েছে
"খাদ্য ও পুষ্টি" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
ফলের রাজা আম হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর সব ফলের রাজা কিন্তু কাঁঠাল। এটি একটি সুস্বাদু রসালো ফল। স্বাদ ও গন্ধে তুলনীয় ফলটি। এতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, সি, বি-১, বি২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানারকম পুষ্টি ও খনিজ উপাদান রয়েছে।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

১০০ গ্রাম কাঁঠালে পুষ্টিমান হিসেবে মোট কার্বোহাইড্রেট ২৪ গ্রাম, বায়াটারি ফাইবার ২ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ভিটামিন এ ২১৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মিলিগ্রাম। খনিজ পদার্থ- ১.১ গ্রাম কিলোক্যালরী ৪৮, আমিষ-১.৮ গ্রাম, শর্করা ৯.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি. গ্রাম, লৌহ-০.৫ মি.গ্রাম, ভিটামিন বি ১-.১১ মি. গ্রাম, ভিটামিন বি২- ১৫ মি.গ্রাম, ভিটামিন সি-২১ মি.গ্রাম, ক্যারেটিন-৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম, অশ-০.২ গ্রাম, চর্বি-০.১ গ্রাম, জলীয় অংশ-৮৮ গ্রাম। 


কাঁঠালের উপকারিতা- কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ্রতি আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে, কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারি। 

১. কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে। 
২. কাঁঠালে রয়েছে লিগনাস, সাপনিস ও নামক ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট অর্থাৎ এই পদার্থগুলোতে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী রয়েছে। এই পদার্থগুলোর রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক। কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখ গহরে ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার। 
৩. কাঁঠাল দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। কাঁঠালে থাকা ফুক্টোজ ও সুকোজ চমৎকারভাবে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তের সুগারের মাত্রা কোনোরকম না বাড়িয়েই। 
৪. কাঁঠাল ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বয়ঃবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় না। তাই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অর্থাৎ চেহারায় লাবণ্য দীর্ঘস্থায়ী করে কাঁঠাল। 
৫. হজমের ক্ষেত্রে কাঁঠালের অনেক উপকারি। এর আলসার প্রতিরোধক গুনাগুণের জন্য এটি আলসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে কাঁঠাল খেলে তা অন্ত্রের চলাচল সহজ করে। 
৬. কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। 
৭. কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। 
৮. উচ্চ রক্তচাপ কমায়। কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এজন্য কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়। উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 সেপ্টেম্বর, 2020 "খাদ্য ও পুষ্টি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Mohammad Sayem

34,059 টি প্রশ্ন

33,009 টি উত্তর

1,579 টি মন্তব্য

3,214 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
36 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 36 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 16417
গতকাল ভিজিট : 22907
সর্বমোট ভিজিট : 42877163
  1. Tuhin_Islam

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Kuddus

    5 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sijan855

    1 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...