প্রকৃতপক্ষে পবিত্র কোরআনের ২৯ টি সূরার শুরুতে এ ধরণের অক্ষর রয়েছে। কখনো দেখবেন ‘সদ’ কখনো ‘হা মীম’। কখনো চারটা কখনো পাঁচটা অক্ষর রয়েছে। আর এ অক্ষরগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। কেউ বলেন, এ অক্ষরগুলো আল্লাহ তায়ালার সংক্ষিপ্ত রূপ। কেউ বলেন, এটা আল্লাহ তায়ালার স্বাক্ষর। কেউ বলেন, এটা আল্লাহর নাম ৷ তবে সবচেয়ে খাঁটি ও বিশুদ্ধ ব্যাখা হচ্ছে এগুলো দ্বারা মানুষকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, এ অক্ষরগুলো দ্বারা হুবহু আরেকটি গ্রন্থ বানিয়ে দেখাও। পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এ চ্যালেঞ্জ করেছেন। কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, মানুষ ও জ্বীন একত্রে সমবেত হয়েও কোরআনের মত আরেকটি বই রচনা করতে পারবে না। যেমন সূরা তুরের ৩৩ ও ৩৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে 33] ﻻ ﻞَﺑ ۚ ُﻪَﻟَّﻮَﻘَﺗ َﻥﻮﻟﻮﻘَﻳ ﻡَﺃ َﻥﻮﻨِﻣﺆُﻳ ]33 ] না তারা বলেঃ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী। [34] ﻥِﺇ ِﻪِﻠﺜِﻣ ٍﺚﻳﺪَﺤِﺑ ﺍﻮﺗﺄَﻴﻠَﻓ َﻦﻴﻗِﺪٰﺻ ﺍﻮﻧﺎﻛ ]34 ] যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবেএর অনুরূপ কোন রচনা উপস্থিত করুক। (সূরা আত্ব তূর) মূলত কোরআনের মতো আরেকটি গ্রন্থ রচনা করতে কেউই পারবে না’। যেহেতু কোরআন নাযিল হয়েছে আরবি ভাষায় ও স্থানীয়দের ভাষাও ছিল আরবি; তাই সে অক্ষরগুলোও আরবি ভাষায় বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পরোক্ষভাবে এ শব্দগুলো দ্বারা বলছেন, আরবি তো তোমাদেরই ভাষা। তোমরা তো আরবি অক্ষরগুলো নিয়ে খুবই গর্ব করো। এ অক্ষরগুলো দিয়ে কোরআনের মতো একটি সূরা বানিয়ে দেখাও। এ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। অনেক অমুসলিমই চেষ্টা করেছে। কেউ পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ পারবে না।