298 বার দেখা হয়েছে
"কুরআন ও হাদিস" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
৫ম বাদশাহ হামুচের পুত্র খবিচের ঔরসে এবং তার কন্যা নিলবিসের গর্বে ইবলিসের জন্ম। খবিচ ছিল সিংহের মতো শক্তিশালী এবং স্বভাব ছিল বাঘের জ্বীনদের ন্যায়। নিবলিচ ছিল ভীষন ধূর্ত। হিংসুক ও নিষ্ঠুর প্রকতির। ইবলিস ছিল অসাধারণ প্রতিভাবান, খুবই সুদর্শন, সাহসী, শক্তিশালী এবং এক ঘুঁয়ে। ইবলিসের গৃহ শিক্ষক ছিল শারবুক- যার ছিল ২৬ হাজার বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। ইবলিসের মত মেধাবী ছাত্র তার শিক্ষা জীবনে কোথাও পায়নি। তবে সে খবিসকে বলেছিল, ছেলের প্রতি খেয়াল রেখ। সে জীবনে বিরাট কিছু একটা হবে। সময়ের বিবর্তনে জ্বীনদের নোংরা আচরনে অসন্তুষ্ট হয়ে মহান আল্লাহ পাক হামুচের বংশ ধ্বংস করার নির্দেশ দান করলে ফেরেস্তারা তাই করেন। তবে ইবলিসের দেহ বর্ণ এবং জ্ঞানের গভীরতা দেখে তাকে ফেরেস্তারা রেখে দেয়। সহসাই ইবলিস তার আচরনে ফেরেস্তাদের মন জয় করে। ফেরেস্তারা ইবলিসকে ‘খাশেন’ নামক সনদ দিলেন। যার অর্থ মহাজ্ঞানী। এরপর ফেরেস্তাগণ তাকে আসমানে তুলে নিলেন। দ্বিতীয় আসমানে ইবলিসের ইবাদত বন্দেগীতে একাগ্রতা দেখে ফেরেস্তাগণ মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘আবেদ’ সনদ দান করলেন। এরপর তার উন্নতি ঘটে তৃতীয় আসমানে। প্রতি আসমানেই তাকে একহাজার বছর ইবাদত করতে হতো এবং সে তাই করতো। এভাবে সে ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম আসমানে পৌঁছে। এবাদত বন্দেগীতে একাগ্রতার উৎকর্ষের সাথে সাথে তার ‘ওলী’, সালেহ, মুত্তাকী, খাজিন, রুহুল্লাহ ইত্যাদি সনদ মিলে। ইবলিস ফেরেস্তাদের ওয়াজ- নছিহত করতো। ফেরেস্তাদের গণতান্ত্রিক আবেদনে আল্লাহপাক ইবলিসকে আরশে মুয়াল্লায় তুলে নেন। ইয়াকুত পাথরে নির্মিত সুউচ্চ মিম্বরে বসে সে এবাদত বন্দেগী করতো এবং ফেরেস্তাদের মাঝে ওয়াজ নসিহত করতো। সে লাভ করে “মুয়াল্লিমুল মালাকুত” বা ফেরেস্তাদের শিক্ষক নামক খেতাবে। এভাবে ছয় হাজার বছর কেটে গেল। ইতোপূর্বে পাপী জ্বীনদের ধ্বংস করার সময় কিছু সংখ্যক সৎ চরিত্রের জ্বীন পাহাড় পর্বতে আশ্রয় গ্রহন করে মহান আল্লাহ পাকের ইবাদতে মগ্ন থেকে জীবন রক্ষা করেছিল। এতদিনে এসব ভালো জ্বীনদের বংশধরদের দ্বারা পৃথিবী পূর্ণ হয়ে যায়। আর এসব জ্বীনদের ভালোভাবে হেদায়েত করার জন্য পৃথিবীতে আসার নির্দেশ দান করেন। ইবলিস দরখাস্ত করলো যে সে সারা দিন পৃথিবীতে আল্লাহর নির্দেশে কাজ করবে বটে, তবে রাতে যেন আরশে মুয়াল্লায় আল্লাহ পাকের ইবাদতে রাত যাপনের সদয় অনুমতি দান করেন। আল্লাহ পাক তার দরখাস্ত মঞ্জুর করেন। ইবলিস আরশে মুয়াল্লায় ইবাদতের পাশা পাশি ফেরেস্তাগণকেও কোচিং করান। সৎ উপদেশ দান করে। তবে পৃথিবীর জ্বীনরা ইবলিসের উপদেশাবলী উপক্ষো করে যার যার রুচিবোধ অনুযায়ী চলতে লাগলো। তাই ইবলিস রাগান্বিত হয়ে আল্লাহ পাকের নিকট জ্বীনদের ধ্বংস করার জন্য আবেদন করলো। কথা হলো ইবলিস জ্বীনদের হেদায়েতের জন্যও আল্লাহ পাকের নিকট আবেদন না করে ধ্বংসই প্রার্থনা করলো। ইবলিস জ্বীন ও ফেরেস্তোদের একচ্ছত্র নেতা বনে গেল। তাছাড়া আসমান ও জমিনে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ইবলিসের সেজদা পড়েনি। তাই আল্লাহ পাকের নিকট তার কোন দরখাস্তই নামঞ্জুর হয়নি। এরই মাঝে ইবলিসের লওহে মাহফুজ দর্শনের ইচ্ছা জাগ্রত হলো। আবার দরখাস্ত মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট। মঞ্জুরও হলো। হযরত মিকাঈল (আঃ) এর উপর দায়িত্ব পড়লো তাকে লওহে মাহফুজ ঘুরিয়ে দেখাবার জন্য। লওহে মাহফুজে রয়েছে সৃষ্ট মানুষ, ফেরেস্তা ও জ্বীনদের ভাগ্যলিপি তথা কর্মফলের রেজিষ্টার। ইবলিস দেখলো আল্লার এক সৃষ্ট দাস বা বান্দা একাধারে ছয়লক্ষ বছর ইবাদত করার পরও আল্লাহর একটি মাত্র আদেশ অমান্য করার অপরাধে অভিশপ্তে রূপান্তরীত হয়ে বেহেস্ত হতে বিতাড়িত হবে। স্পষ্ট লিখা রয়েছে, “লানা তুল্লাহি আলাল ইবলিস” – অর্থাৎ ইবলিসের উপর অভিশাপ বর্ষিত হোক। ইবলিস তখনও জানতো না কে সে অভিশপ্ত বদমায়েশ। কারণ সে নিজকে সবচে’ পূণ্যবান ভাবতো। আর এ দেখে সে আল্লাহ পাকের নিকট এক সেজদায়ই ছয় হাজার বছর কাটিয়ে দেয়। আল্লাহর সকল আদেশ, নির্দেশ পালন, বিদ্যাবুদ্ধি, অর্জিত জ্ঞান ইবলিসের হৃদয়ে অহমিকার জন্ম দেয়। নিজকে ভাবতে থাকে যে কোন সৃষ্টির চেয়ে শ্রেষ্ঠ। নিজকে ভাবতে থাকে আসমান এবং জমিনের সকল জ্বীন ও ফেরেস্তাদের অবিসংবাদিত নেতা। যেহেতু আল্লাহ সৃষ্ট জ্বীন ও ফেরেস্তারা সবাই তাকে মান্য করে। তাই আল্লাহ পাকও তার নিকট প্রতিযোগিতায় হেরে যাবেন। তাছাড়া জ্বীন ও ফেরেস্তাদের সেই প্রধান শিক্ষা গুরু। ইবলিস মনে মনে ভাবতে লাগলো, যে কোন সময়ে সে আল্লাহ পাকের অধীনতা হতে স্বাধীনতা ঘোষনা করার ক্ষমতা রাখে। ইবলিস তার জনগন অর্থাৎ জ্বীন ও ফেরেস্তাদের বুঝাতে চাইলো- সেই সর্বময় ক্ষমতাধারী। অথচ জ্বীন ও ফেরেস্তাগণ আল্লাহ পাকের সার্বিক ক্ষমতাকে স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে বললে, ইবলিস হেসে উড়িয়ে দেয়। ইবলিসের ধারনা তার জনপ্রিয়তার কাছে আল্লাহর কোন শাস্তিই কার্যকর হবে না। আল্লাহপাক বার বার খারাপ জ্বীনদের সৎপথে আনার জন্য তাদের মধ্য হতে সৎ এবং ধার্মিক বাদশাহ নিযুক্ত করেছেন। বার বারই জ্বীন সম্প্রদায় কালের আবর্তনে পাপে, ব্যভিচারে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছে। জ্বীনদের প্রথম বাদশা চালপলিশ ছত্রিশ হাজার বছর জ্বীনদের উপর বাদশাহী করেছেন। এরপর বাদশা বিলিকা এবং বাদশাহ হামুচ বাদশাহ হয়েছেন। এরা ছিলেন সৎ, ন্যায় পরায়ন। অথচ জ্বীনরা তাদের মাঝে হানাহানি ও বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত ছিল। এতো সুকঠিন এবং ন্যায়ানুগ বাদশাহদের স্বজনদের মাঝেও খারাপ জ্বীনেরা জঘণ্য অপরাধে লিপ্ত হতো। বাদশাহ হামুচই ছিলেন জ্বীনদের সর্বশেষ বাদশাহ। তারই জঘন্য প্রকৃতির ছেলে খবিস এবং নোংরা চরিত্রের কন্যা নিলবিছের সন্তানই প্রতিভাধর ইবলিস। বিরক্ত হয়ে আল্লাহ পাক আদম সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আদম (আঃ) কে তৈরী করার জন্য আজরাঈল (আঃ) কে মাটি সংগ্রহ করতে বললেন। আজরাঈলের সংগৃহীকৃত পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মাটি হতে কাবার মাটি দিয়ে আদম (আঃ) মস্তক, বেহেস্তের মাটি দিয়ে চোখ, ভারত উপমহাদেশের মাটি দিয়ে হাত এবং পূর্বদেশের মাটি দিয়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরী করলেন। তারপর সে দেহকে আল্লাহ পাকের আরশে নীচে নিভৃত জায়গায় শুইয়ে রাখলেন। ফেরেস্তাগণ শায়িত আদম (আঃ) এর নিষ্প্রান দেহ দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা তা ইবলিসকে বলল। ইবলিশ আদম (আঃ) এর দেহ দেখে পরীক্ষা করে আশ্চর্য হলেও ফেরেস্তাদের বুঝতে দিলনা। শুধু বললো মানুষ দিয়ে আল্লাহর খিলাফত চলবেনা। সুতরাং ভাববার কিছু নেই। এরপর মহান আল্লাহ পাক আদম (আঃ) এর শরীরকে নিপূন সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত করলেন এবং প্রান সঞ্চার করলেন। ফেরেস্তাদের বললেন সেজদা করে সম্মান জানাতে। সবাই তাই করলো কিন্তু ইবলিশ সেজদা করতে অস্বীকার করলো। সে বললো মরনশীল মাটির তৈরী মানুষকে সে সেজদা করবেনা। তারপর আল্লাপাক তাকে আসমান থেকে বের করে দিলেন এবং বললেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইবলিসের উপর আল্লাহর অভিশাপ থাকবে। ইবলিস তদ্দিন পর্যন্ত তার সাজা মওকুপ রাখার জন্য অনুরোধ করলো অর্থাৎ বেঁচে থাকার প্রার্থনা জানালে আল্লাহ তা কবুল করেন। শুধু তাই নয় তার প্রার্থনার লিষ্টে যোগ করলো মুসলমানদের নামাজের সময়- তার বাদ্য বাজানোর অধিকার, অশ্লীনগান গাওয়ার ও নৃত্যের অধিকার এবং মানুষকে ভুল পথে চলার মন্ত্রনাদানের অধিকার। আদম (আঃ) শয়তানের শয়তানীর ভয়ে ভীত হলে, আল্লাহ পাক তাঁকে অভয় দিয়ে বললেন, “তুমি ভয় পেওনা। মানুষকে সৎ পথে চলার এবং শয়তানের ধোকা হতে আত্মরক্ষার জন্য আমি তোমার বংশধরদের বিধি বিধান সম্বলিত কিতাব নাযিল করবো এবং নির্দেশিত পথে চালাবার জন্য নবী ও রাসূল প্রেরন করবো। আমার বিধান মতো চললে তাদের বিপথ গামী হওয়া বা অভিশপ্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। তারা ইবলিশের ধোকা হতে রক্ষা পাবে।” মহান আল্লাহ পাক বেহেস্ত হতে ইবলিসকে বিতাড়িত করলেন। তবে মানব সমাজে ইবলিসের বিচরন সর্বত্র। আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইবলিস যে সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করে, তা হলো লোভ, উত্তেজক গানবাজনা, নাচ, চটুল বাক্যালাপ, ক্ষমতার মোহ, নারীদেহ, সম্পদের লোভ, লালসা, নেশাদ্রব্য, অহংকার, অভিনয়, মিথ্যাচার, পরহিংসা, জিঘাংসা ইত্যাদি। শয়তান মানুষকে রিপূর উপাসকে পরিনত করে, পরনিন্দায় উৎসাহিত করে, অন্যের অকল্যানে একজনকে অপরের বিরোদ্ধে প্রভাবিত করে, ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে ফুলিয়ে পাাঁপিয়ে মহান আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে নিতে উৎসাহিত করে। পার্থিব সুখ আর জৌলশ মুখী করে রাখে মানুষকে। আর যারা তা হতে নিজকে রক্ষা করতে পারে তারাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের রহমতের মালিক হয়। পুরস্কৃত হয়। পরকালীন সুখ তথা বেহেস্তের নিশ্চয়তা তাদেরই রয়েছে- যারা আল্লাহর বিধানকে জীবনাচারে প্রতিফলিত করে। আর শয়তান ও তার তাবেদারদের পৌত্রিক সম্মত্তি জাহান্নাম। আর সে সংসদের সংসদীয় দলের নেতা হবে খবিসের বেটা ইবলিস। ইবলিস কাহিনী মানব জাতির জন্য চাক্ষুস উদাহরন। যার বিবেক আছে সেই বুঝতে পারে বাদশাহ হামুচের ছেলে মেয়ের ঘরে জন্মালেও তার মা-বাবা ছিল নিষ্ঠুর, কুচক্রি এবং দুশ্চরিত্র। সুতরাং অপাত্রে জন্ম হলে তার কার্যাবলীও সুন্দর এবং সার্বজনীন হয় না। কালের আবর্তনে জাতক জন্মদাতা ও জন্ম দাত্রীর চরিত্রকেই অনুসরন করে থাকে। অহংবোধ মানুষের অধঃপতনের কারন। তাই ইবলিসের ছয় লক্ষ বছরের ইবাদতের পরিনতি জাহান্নাম। অপরের ক্ষতির চিন্তা এবং চেষ্টা একজন মানুষকে কোন নরকে নিয়ে যেতে পারে ইবলিস তার জ্বলন্ত উদাহরন। সুতরাং হে মানুষ, সাবধান! জ্বীন ও ফেরেস্তাকুলের প্রভাবশালী নেতা ইবলিসের জীবন হতে আসুন শিক্ষাগ্রহন করি। মানুষ হই। আল্লাহ আমাদের সংপথ প্রদর্শন করুন এবং আমরা তা মেনে চলতে সংকল্পবদ্ধ হই। আমিন।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
2 মে, 2023 "নারী স্বাস্থ্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
0 টি উত্তর
6 সেপ্টেম্বর, 2023 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
3 অক্টোবর, 2022 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
21 মার্চ, 2021 "কুরআন ও হাদিস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Hasan312
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর

33,909 টি প্রশ্ন

32,842 টি উত্তর

1,567 টি মন্তব্য

3,186 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
38 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 38 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 33803
গতকাল ভিজিট : 35871
সর্বমোট ভিজিট : 41612364
  1. MuntasirMahmud

    778 পয়েন্ট

    153 টি উত্তর

    8 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    396 পয়েন্ট

    67 টি উত্তর

    61 টি গ্রশ্ন

  3. Rahmat

    275 পয়েন্ট

    35 টি উত্তর

    50 টি গ্রশ্ন

  4. Kuddus

    81 পয়েন্ট

    16 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  5. Mdmasud999

    56 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...