কোন কিছু চোখ দিয়ে দেখার ব্যাপারটা প্রথমত আমাদের একটু মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
১. আমরা কোনো কিছু চোখের সাহায্য নিয়ে দেখে থাকি, অর্থাৎ চোখের রেটিনায় বিশেষ কোন এক ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার পর... উৎপন্ন ইলেকট্রিক সিগন্যাল মস্তিষ্কে দর্শনানুভূতি উদ্ভবের জন্য তথ্য সরবরাহ করে।
২. কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক কাঠামোর বিভিন্ন বিন্দু থেকে ফোটন(আলোক কনিকা) নিঃসরণ হওয়ার পর তা যখন আমাদের চোখের স্নায়ুকোষে এসে আঘাত করে; ঠিক তারপর মস্তিষ্ক দর্শনানুভূতি তৈরি করে ফলে আমরা ঐ বস্তুকে তার প্রস্থ( width) ,উচ্চতা(height) ও গভীরতা(depth) সহকারে অর্থাৎ ত্রিমাত্রিক আকারে দেখতে পাই।
৩. চোখের রেটিনায় উৎপন্ন বৈদ্যুতিক সিগন্যাল মস্তিষ্কে গিয়ে প্রসেসিং হয়ে দর্শনানুভূতি তৈরি হতে 'সময়' লাগে, অর্থাৎ ইলেকট্রিক সিগন্যাল স্থানান্তর হতে গেলে আধানযুক্ত কনিকা বা বস্তুর গতিবেগ 'অসীম' হবে না অথবা চোখের 'রেটিনায় আলোক কনিকা আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শনানুভূতির উদ্ভব হয় না'।
৪. সাধারনত কোন বস্তু দেখার ক্ষেত্রে বা বস্তুকণিকা দেখার ক্ষেত্রে ওই বস্তুকণিকা বা 'বস্তু স্বয়ং' রেটিনাতে এসে আঘাত হানার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু 'আলো দেখার'(সাধারণভাবে বলতে গেলে, যদিও তা অবৈজ্ঞানিক) ক্ষেত্রে অবশ্যই আলোক কণিকাকে চোখের রেটিনায় এসে আঘাত হানতে হবে।
৫. কোন কিছু চোখ দিয়ে দেখার জন্য ওই 'কোন কিছু' থেকে শক্তি(যা থেকে দেখার জন্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে) পরবর্তীতে চোখের দিকে ধাবমান হওয়ার পূর্বেই যদি তার(কোন কিছু) "গঠনগত কাঠামো" বিলুপ্ত হয় তাহলে ওই 'কোন কিছুকে' দেখা সম্ভব নয়।
ইন্টারনেটে খুঁজলে অনেক লিংক পাওয়া যাবে, যেখানে অনেকেই বলেছে যে আলো দেখা যায়, যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে আলো কিন্তু দেখা যায় না।