শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ .এর বক্তব্য:
قد سُئل شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله تعالى عن الدعاء بعد الصلاة، فذكر بعض ما نقل عنه صلى الله عليه وسلم من الأذكار بعد المكتوبة، ثم قال: وأما دعاء الإمام والمأمومين جميعاً عقيب الصلاة فلم ينقل هذا أحد عن النبي صلى الله عليه وسلم. انته
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.কে সালাতের পর দুআ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ফরয সালাতের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত কতিপয় যিকির উল্লেখ করার পর বলেন: “আর সালাতের পর ইমাম-মামুম (মুক্তাদি) সবাই মিলে দুআ করার কথা কেউই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন নি।” (মজমু ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, ২২/৫১৫)
◉ ইমাম নওবী রাহ. এর বক্তব্য:
أما ما اعتاده الناس أو كثير منهم من تخصيص دعاء الإمام بصلاتي الصبح والعصر، فلا أصل له.
ইমাম নওবী রাহ. মাজমু গ্রন্থে বলেন: “আর লোকজন বা অনেক মানুষ ইমাম কর্তৃক ফরজ ও আসর সালাতের বিশেষ কিছু দুআকে নির্দিষ্ট করা-যা লোকেরা বা অনেক মানুষ নিয়োম বানিয়ে ফেলেছে তার কোন ভিত্তি নাই।” ( মাজমু নওবী ৩/৪৬৫-৪৬৯)
সুতরাং আমাদের সমাজের ইমাম সাহেবগণ ফরয সালাতের পর (বিশেষ করে ফজর ও আসর সালাতের পর) মুসল্লিদেরকে নিয়ে যেভাবে সম্মিলিতভাবে সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, জিকির-আজকার, মিলাদ ও দুআ-মুনাজাত করেন তা নিঃসন্দেহে বিদআত। কেননা তা যিকিরের ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের আমল ও তরিকা পরিপন্থী।