ঘোষনাঃ
সম্মানীত সদস্যবৃন্দ, আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এআই ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে সাইটের র‌্যাংক কমে গেছে। তাই এআই উত্তর আর অনুমোদন দেওয়া হবে না।
77 বার দেখা হয়েছে
"তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

ডেমোক্রেটিক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এমন একটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থার প্রতিফলন, যেখানে জনগণের ইচ্ছা এবং মতামতের ভিত্তিতে সরকার পরিচালিত হয়। ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের মূল কাজ এবং কার্যক্রম নিম্নরূপ:


১. জনগণের মতামত প্রতিফলন:

  • নির্বাচনের আয়োজন:
    গণতন্ত্রে নিয়মিত নির্বাচন হয়, যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে।
  • জনমতের গুরুত্ব:
    জনগণের মতামত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।

২. নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা:

  • মতপ্রকাশের স্বাধীনতা:
    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক নাগরিকের কথা বলার ও মত প্রকাশের অধিকার থাকে।
  • ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা:
    প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতি পালন করতে পারে।
  • আইনের সমতা:
    সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং তাদের ন্যায়বিচারের অধিকার রয়েছে।

৩. ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা:

  • তিন শাখার কার্যক্রম:
    গণতন্ত্রে সাধারণত তিনটি প্রধান শাখা থাকে—বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, এবং আইনসভা। এদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
  • নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা:
    স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখে।

৪. সুশাসন নিশ্চিত করা:

  • স্বচ্ছতা:
    সরকারের কার্যক্রম জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং জনগণের কাছে তার জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়।
  • দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন:
    গণতন্ত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

৫. সামাজিক উন্নয়ন:

  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা:
    গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
  • সমতা:
    সমাজে লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি বা বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করা হয়।
  • দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন:
    দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং আর্থিক সমতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়।

৬. শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা:

  • সংলাপ ও আলোচনা:
    বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের মধ্যে মতপার্থক্য সমাধানে সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখা হয়।
  • মানবাধিকার রক্ষা:
    প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষিত করা এবং অত্যাচার ও নিপীড়ন রোধ করা হয়।

৭. অংশগ্রহণমূলক শাসন:

  • স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন:
    জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা হয়।
  • জনগণের ক্ষমতায়ন:
    জনগণকে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।

৮. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা:

  • কূটনৈতিক সম্পর্ক:
    গণতান্ত্রিক দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নত করে।
  • বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা:
    গণতান্ত্রিক দেশগুলো বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার:

গণতন্ত্র একটি অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা, যা জনগণের ইচ্ছা, অধিকার ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এটি সমতা, ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল সমাজ গড়তে সহায়তা করে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
16 ফেব্রুয়ারি "তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন sohel.cdr
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
5 জানুয়ারি "তথ্য ও প্রযুক্তি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন IamBiplob

36,000 টি প্রশ্ন

35,265 টি উত্তর

1,738 টি মন্তব্য

3,754 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
13 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 13 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 14315
গতকাল ভিজিট : 31773
সর্বমোট ভিজিট : 51918423
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...