মেয়েদেরকে "মাল" বলা একটি খুবই আপত্তিকর ও অপমানজনক ধারণা। এটি মূলত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রচলিত একটি ভুল ধারণা, যেখানে মেয়েদেরকে বস্তু বা সম্পত্তি হিসেবে দেখা হয়। "মাল" শব্দটি সাধারণত সম্পত্তি, মালমালিকানা বা পণ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি মানুষের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে না।
ইসলামিক দর্শন, মানবাধিকার এবং আধুনিক সমাজের নৈতিকতা অনুযায়ী, মেয়েরা বা নারী একেকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি, তাদের মূল্য, মর্যাদা ও অধিকার সম্পূর্ণ আলাদা এবং অমূল্য। তাদের "মাল" হিসেবে দেখা একেবারেই ভুল ও অবমাননাকর।
ইসলামে নারী:
ইসলাম নারীকে তার সন্মান ও মর্যাদা দেয় এবং তাকে "মাল" বা বস্তু হিসেবে দেখার কোনো ভিত্তি নেই। ইসলাম নারীকে স্বাধীন ব্যক্তিত্ব এবং অধিকারী হিসেবে গণ্য করে, এবং তাকে সম্মান, ভালোবাসা ও সুরক্ষা দেওয়ার উপদেশ দেয়। যেমন:
> "আর পুরুষদের জন্য রয়েছে যা তারা উপার্জন করেছে, এবং মহিলাদের জন্য রয়েছে যা তারা উপার্জন করেছে।"
(সুরা আন-নিসা, আয়াত ৩২)
এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে নারী ও পুরুষের আলাদা অধিকার এবং মূল্য রয়েছে, এবং তাদের তুলনা একে অপরের সাথে করতে হবে না।
সমাজে নারীকে "মাল" হিসেবে দেখা:
যেখানে নারীকে "মাল" বা সম্পত্তি হিসেবে দেখা হয়, সেখানে এটি পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ, যা সমাজের উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। এর ফলে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য, অত্যাচার ও অবহেলা সৃষ্টি হয়।
এই ধরনের ধারণা ও আচরণ প্রতিরোধ করতে হবে এবং নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।