* সিরাতুল মুস্তফা (সা) ১/ ২০৭,২০৯, আল্লামা ইদরিস কান্ধলবি (রহ): একবার মুশরিকগন একত্রিত হয়ে নবী (সা) এর কাছে এলো। যাদের মধ্যে ওলিদ ইবনে মুগিরা, আবু জায়েল, আস ইবনে ওয়ায়েল, আস ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে আবদ ইয়াগুস, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব, নযর ইবনে হারিস ছিল । এরা নবী মুহাম্মদ (সা) এর কাছে এসে আবদার করলো, যদি আপনি সত্যিই আল্লাহ্র নবী হয়ে থাকেন তবে নবুওয়াতের বিশেষ কোন নিদর্শন দেখান । চাঁদকে দুই টুকরা করে দেখান । তখন রাত ছিল । নবী (সা) বলেন, যদি এ মোজেজা দেখাই তাহলে ইমান আনবে তো ? তারা বলল হ্যাঁ । আমরা ইমান আনব । নবী (সা) আল্লাহ্র নিকট দোয়া করলেন এবং পবিত্র আঙুল দিয়ে চাঁদের প্রতি ইশারা করলেন, সাথে সাথে চাঁদ দুই টুকরা হয়ে গেল । এক টুকরা আবু কুবায়স পাহাড়ের উপর এবং ওপর টুকরা কায়কোয়ান পাহাড়ের উপর ছিল । দীর্ঘক্ষণ মানুষ আশ্চর্য হয়ে দেখতে থাকে এবং ওরা এত আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল যে, কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে থাকে । এবং চাঁদের দিকে দেখতে থাকে, এতে চাঁদ পরিষ্কার দুই টুকরা দেখা যেতে থাকে ।
রাসুল (সা) তখন বলছিলেন আশহাদু, আশহাদু , হে লোকেরা সাক্ষ্য থাকো, সাক্ষ্য থাকো। আসর এবং মাগরিবের মধ্যে যতটা সময় থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত চাঁদ দু টুকরা থাকে, পরে আবার তা একত্রিত হয়ে যায় । মক্কার মুশরিকরা বলল, মুহাম্মদ তুমি যাদু করেছ, তাই বাইরে থেকে আগত মুসাফিরদের অপেক্ষা করো এবং তাদের জিজ্ঞেস করো । কেননা এটা কখনোই সম্ভব না যে মুহাম্মদ সমস্ত লোকের উপর যাদু করবে । যদি তারাও এ ব্যাপারে নিজেরা সাক্ষ্য দেয়, তবে ঠিক আছে। যদি তারা বলে, আমরা দেখিনি, তবে নিশ্চিত মুহাম্মদ তোমাদের উপর যাদু করেছে । পরে মুসাফিরদের জিজ্ঞেস করা হয় , সমস্ত দিক থেকে আগত মুসাফিররা সাক্ষ্য দিল যে, আমরা চাঁদকে দুই টুকরো হতে দেখেছি । তারপরেও ঐ মুশরিকরা ইমান আনল না । বরং বলল, এটা চিরাচরিত যাদু ।