231 বার দেখা হয়েছে
"বাংলাদেশ" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

মানুষ মরে গেলে তার আত্মা নাকি শরীর ছেড়ে বেরিয়ে যায় - এই বিদ্রোহী আত্মাই ভুত - মহিলারা পেত্নি । তারপর সে ঘুরে বেড়ায় জনশুন্য স্থানে,ভাংগা বাড়ী কিংবা কোন গাছে । আসলে কোন শিশু ভূতের অস্থিত্ব সম্পর্কে বিশ্বাস নিয়ে জন্মায় না ।পরে মুরুব্বীদের মুখে,গল্পের বইতে ভূত সম্পর্কে বিশ্বাস তার মধ্যে ঢুকানো হয় । এজন্য দেখা যায় মহিলা ও শিশুদেরকেই শুধু ভূতে পায় ,যেহেতু তারা মানসিকভাবে দূরবল । চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, ভুতে পাওয়া হল মানসিক রোগ । 

মনের এ রোগ প্রধানত তিন ভাগে বিভক্তঃ 
(১) হিস্টিরিয়া 
(২) স্কিটসোফ্রেনিয়া 
(৩) ম্যানিয়াক ডিপ্রেসিভ বা অবদমিত বিষন্নতা৷ 

(১) হিস্টিরিয়াঃ প্রাচিনকাল থেকেই এ রোগটি ছিল । কিন্তু তখনকার দিনের ওঝা ও মোল্লা-পুরোহিতরা সঠিক শরীর বিজ্ঞানের ধারনার অভাবে এ রোগকে কখনো ভুতে পাওয়া, কখনো ঈশ্বরের ভর বলে করত । সাধারনত কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে হিস্টিরিয়া রোগির সংখা সবচেয়ে বেশী । সাধারনভাবে এইসব মানুষের মস্তিস্ক কোষের স্থিতিস্থাপকতা ও সহনশীলতা কম। যুক্তি দিয়ে গ্রহন করার চেয়ে বহুজনের প্রচলিত বিশ্বাসকে অন্ধভাবে মেনে নিতে অভ্যস্ত। 

(২) স্কিটসোফ্রেনিয়াঃ গতিময়তা মস্তিস্ক কোষের একটি ধর্ম। সবার মস্তিস্ক কোষের গতিময়তা সমান নয়। যাদের বেশী, তারা যে-কোন বিষয় চটপট বুঝতে পারে। বহু বিষয় জানার এবং বোঝার আগ্রহ ও ক্ষমতা এদের আছে ।এরা সহজেই এক চিন্তা থেকে অন্য চিন্তা বা আলোচনায় নিজের মস্তিস্ক কোষকে নিয়োজিত করতে পারে । কিন্তু যারা এক বিষয়ে গভিরভাবে মগ্ন থাকেন, বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন না, তারা আত্মস্থ। সাধারনভাবে এই আত্মস্থ ধরনের মস্তিস্কের মানুষেরাই স্কিটসোফ্রেনিয়া রোগের শিকার হন। তারা কোন কিছু নিয়ে গভিরভাবে চিন্তা করতে গিয়ে সমাধান না পেলে, অথবা কোন রহস্যময়তা নিয়ে চিন্তা করতে করতে অতি আবেগ প্রবনতার দরুন মস্তিস্ককোষের গতিময়তা আরো কমে যায়, তখন মস্তিস্কের চালক কেন্দ্র এবং সংবেদন কেন্দ্র ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে। ফলে মস্তিস্ককোষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যহত হয়। মস্তিস্ককোষের এই বিশৃঙ্খল অবস্থার দরুন রোগী নানা অলীক বিশ্বাসের শিকার হন। 

(৩) ম্যানিয়াক ডিপ্রেসিভ বা অবদমিত বিষন্নতাঃ অতৃপ্ত বাসনা থেকে আসে অবদমিত বিষন্নতা কোন অদম্য বাসনা যখন অপূর্ণ থেকে যায়, তখন সে বাসনার তীব্রতা প্রতিনিয়ত মস্তস্ককোষকে উত্তেজিত করতে থাকে।এই মস্তিস্ককোষগুলোর উপর অতিপীড়ন চালাতে থাকার ফলে এক সময় মস্তিস্ককোষের ক্রিয়াকলাপের বিশৃঙ্খলা ঘটে। অতৃপ্ত প্রেম থেকেও অনেক সময় অবদমিত বিষন্নতার সৃষ্টি করে । এবং এর থেকেই ভুতে ধরার তথাকথিত অনেক ঘটনা ঘটতে থাকে। দেড় দুই হাজার কোটি বছর আগে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির পর কিভাবে ধাপে ধাপে সূর্য-চন্দ্র-পৃথিবী ও প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে, তা আজ মোটামোটি সব শিক্ষিত মানুষেরই কম-বেশী জানা। বিগত কয়েক বছরের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় মানুষ হাতে নাতে জেনেছে যে,ভূত, জিন, শয়তান ইত্যাদি বাস্তবে অসম্বব, এগুলো আছে শুধু মানুষের কল্পনায়, অজ্ঞতায়, অসহতায়।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
3 জুন, 2021 "অন্যান্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Md Solaiman Ali
1 টি উত্তর
21 আগস্ট, 2020 "ঝাড়ফুঁক" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Rabby

36,811 টি প্রশ্ন

36,104 টি উত্তর

1,781 টি মন্তব্য

3,873 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
9 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 9 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 29946
গতকাল ভিজিট : 20114
সর্বমোট ভিজিট : 56954703
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...