আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের কোষ দিয়ে গঠিত ।ক্রোমোজোম জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বহন করে ।কোষের নিওক্লিয়াসের মধ্যে ক্রোমোজোম থাকে ।বলা যায়,জীবের সকল বৈশিষ্ট্য এই নিওক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ।বিভিন্ন প্রানির কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা বিভিন্ন এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক হয় ।তো মানুষের মোট ৪৬ টি ক্রমসম আছে ।যেহেতু আমরা বাবা-মার মাধ্যমে পৃথিবীতে আসি,তাই এই ৪৬ টির মধ্যে ২৩ টি বাবা এবং ২৩ টি মা থেকে আসে ।এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের নামকরণ করা হয়েছে ১,২,৩,………২৩ এই ক্রম অনুসারে ।২৩ নম্বর ক্রোমোজোমটির নাম XY ।X ক্রোমোজোমটি আসে মা থেকে এবং Y আসে বাবা থেকে ।ক্রোমোজোমটি দেখতে মোটামুটি বড় এবং দেখতে ছোট ।একজন মানুষের প্রতিটি কোষের প্রতিটি নেউক্লিয়াসের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যেই মানুষের বিভিন্ন বিশিষ্ট্য লুকায়িত থাকে ।কারো ২৩ তম ক্রোমোজোমে যদি বাদামি চুলের নির্দেশনা থাকে ,তাহলে সেই মানুষটি বাদামি চুলের অধিকারী হবেন ,আবার কালো থাকলে কালো হবে ।আবার একজন মানুষ ছেলে হবে না মেয়ে হবে ,সেই ব্যাপারটিও এই ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকে ।একজন মানুষ যদি পুরুষ হয় তবে তাঁর এই ২৩ তম ক্রোমোজোমটি হয় XY এবং মেয়ে হলে হয় XX ।তাহলে ছেলেদের ক্রোমোজোমে একটি X এবং একটি Y থাকে ।আবার মেয়েদের ক্রোমোজোমে থাকে দুইটিই XX ।মানুষের মাথায় টাকের বৈশিষ্ট্যটি X ক্রমসমে মধ্যে থাকে ।যেহেতু মেয়েদের ক্রমসমে দুইটি X থাকে ,তাই তারা যে কোন একটি X থেকে চুল পড়ার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে ।আর ছেলেদের শুধু একটা মাত্র X ক্রমসম থাকায় ,টাকের বিশিষ্ট্যটি পুষিয়ে নিতে পারে না ।তাই কোষের এই নিগূঢ় এই রহ্যসের কারনে শধুমাত্র ছেলেরাই টাক মাথার অধিকারী হয় ।প্রকৃতির এই ব্যাপার টি সত্যিই অদ্ভুত ।