431 বার দেখা হয়েছে
"জীবনী" বিভাগে করেছেন

3 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল বর্তমান জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশের এল্ব নদীতীরবর্তী মিসেন নগরে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন হ্যানিম্যান। তার বাবা ক্রিশ্চিয়ান গটফ্রয়েড হ্যানিম্যান জার্মানির মিসেনে মাটির তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় চিনামাটির পাত্রে রঙ-তুলির কাজের দক্ষ শিল্পী ছিলেন।

শিশুকাল থেকেই হ্যানিম্যান অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন। বিসয়টি টের পেয়ে পিতা ক্রিশ্চিয়ান পাঁচ বছর বয়স থেকেই প্রতিদিন হ্যানিম্যানকে নির্দিষ্ট সময়ে চিন্তা করার দীক্ষা দেন। সব নিজের স্বাধীন বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করার বিষয়ে হ্যানিম্যানকে শিশুকাল থেকেই গড়ে তোলেন তিনি।   `কোনও কিছু যুক্তিগ্রাহ্য না হলে শুধু বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করো না। অভিজ্ঞতার আলোকে যা সত্য বলে প্রমাণিত হবে, কোনো অবস্থাতেই তা থেকে সরে এসো না। ` পিতার এ উপদেশকে অনুসরণ করেই হ্যানিম্যান যে কোনো বিষয়কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করার নীতি ও রীতি আয়ত্ব করেন।

তবে চরম দারিদ্র্য তার বিদ্যাচর্চার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্কুলজীবনে লেখাপড়ার জন্য রাতের বেলা প্রয়োজনীয় বাতির তেলের পয়সা জোগাড় করাও কষ্টকর ছিল তাদের পরিবারের পক্ষে। এ অবস্থায় হ্যানিম্যানের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন তার বাবা। পরে স্কুলশিক্ষক রেক্টর এম মুলার অসাধারণ প্রতিভাবান হ্যানিম্যানকে বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেন। তার প্রখর মেধার কারণে শিক্ষক মুলার তাকে স্কুলের অন্যান্য ছাত্রকে গ্রিক ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার ভার দেন।

হ্যানিম্যান ১৭৬৭ সালের ২০ জুলাই মিসেনের টাউন স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে পাঠ চুকিয়ে বিদেশি ভাষা রপ্ত করতে ১৭৭৪ সালের ২০ নভেম্বর ভর্তি হন কাস্টেন এনডল্যান্ডের স্কুল সেন্ট আফ্রাতে। তিনি খুব অল্প সময়ে ১১টি ভাষায় (জার্মান, গ্রিক, লাতিন, ইংরেজি, হিব্রু, ইতালিয়ান, সিরিয়াক, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি ও চ্যালডেইক) সুপণ্ডিত হন।  

তবে চিকিৎসাবিদ্যা ছিল হ্যানিম্যানের প্রিয় বিষয়। ১৭৭৫ সালে তিনি লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিদ্যা পড়ার জন্য ভর্তি হন। এরপর সেখান থেকে ১৭৭৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার লিওপোল্ডস্ট্যাট জেলার ব্রাদার্স অব মার্সি হাসপাতালে চিকিৎসাবিদ্যা শিখতে যান। সেখঅনে তিনি হিপোক্র্যাটিস, গ্যালন ও স্টোয়ার্কের লেখাগুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা পান। তিনি তার প্রখর ধীশক্তি, অসাধারণ অধ্যাবসায় ও চারিত্রিক সরলতার দ্বারা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা. কোয়ারিনের প্রিয়তম শিষ্য হয়ে ওঠেন। হ্যানিম্যান তার কাছে হাতে-কলমে রোগী দেখার শিক্ষা পান।
এ হাসপাতালে ৯ মাস থাকার পর হঠাৎ ছাত্রাবাস থেকে হ্যানিম্যানের সব টাকা-পয়সা চুরি হয়ে যায়। এতে তার লেখাপড়ায় ছেদ পড়ে। তখন ডা. জে ফন কোয়ারিনের সহযোগিতায় তিনি ট্রানসিলভেনিয়ার গভর্নর ব্যারন এস ফন ব্রুকেনহলের সঙ্গে হার্মানেস্ট্যাটে চলে যান। এখানে তিনি গভর্নরের মুদ্রা ও চিত্রকর্মের সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হয়ে লাইব্রেরিতে ব্যাপক পড়াশোনার সুযোগ পান। ১৭৭৯ সালে তিনি এনলার্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি হোফ্রাথ স্কোবারের কাছে এসে উদ্ভিদবিদ্যার পাঠ নেন। ১৭৭৯ সালের ১০ আগস্ট চিকিৎসাবিদ্যায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি `এমডি` উপাধি লাভ করেন। এই ডিগ্রি লাভের জন্য হ্যানিম্যান `আপেক্ষিক রোগের কারণ ও ইহার চিকিৎসা` বিষয়ে ২০ পৃষ্ঠার একটি ছাপানো গবেষণাপত্র পেশ করেছিলেন।

১০ বছর ধরে তিনি অত্যন্ত প্রতিপত্তির সঙ্গে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে তিনি লক্ষ্য করলেন, তৎকালীন চিকিৎসা পদ্ধতি আন্দাজ, অনুমান, ব্যক্তিগত মতামত ও কিছু ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, চিকিৎসার পরও রোগের পুনরাক্রমণ বারবার উপলব্ধি করেন তিনি। এভাবে তিনি ধীরে ধীরে অ্যালোপ্যাথির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন।
তিনি রসায়ন শাস্ত্র অনুশীলন এবং এসব বই অনুবাদ করে জীবিকা অর্জন করতেন। সে সময় চিকিৎসা পদ্ধতি দেখে হতাশ হয়ে বললেন_ সব চিকিৎসাপ্রথাই কাল্পনিক রোগ প্রতিকারের, প্রকৃত ওষুধ কোথায়? এমন দিনে হঠাৎ তার নিজের ঘরেই রোগের ভয়াল আক্রমণ শুরু হলে নিজের প্রাণাধিক প্রিয় শিশুদের রোগযন্ত্রণা তাকে নতুন এক চিকিৎসার পদ্ধতি আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এভাবে একদিন (১৭৯০ সালে) এডিনবার্গের বিখ্যাত অধ্যাপক, শ্রেষ্ঠ রসায়নবিদ ডা. উইলিয়াম কালেনের লেখা চিকিৎসাবিষয়ক বই জার্মান ভাষায় অনুবাদকালে হোমিওপ্যাথির মূল সূত্র আবিষ্কার করেন।
হ্যানিম্যান গভীরভাবে লক্ষ্য করলেন, যে পদার্থ সুস্থ শরীর যন্ত্রকে বিকৃত করে যেসব যন্ত্রণাদায়ক কৃত্রিম লক্ষণ সৃষ্টি করে, সে পদার্থের সূক্ষ্মমাত্রা বা শক্তিকে ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করলে ওই লক্ষণাদি বিদূরিত করে শরীরযন্ত্রকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে পারে। এ পদ্ধতি অন্য চিকিৎসা পদ্ধতির মতো জল্পনা-কল্পনা কিংবা অনুমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। টানা ছয় বছর এ পদ্ধতিতে তিনি নানা ওষুধ ও বহুবিধ তরল সেবন করে নিজ দেহের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন। এ কাজে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন তার অনেক হিতৈষী।

এরপর তিনি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির নীতিমালার বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিলেন_ `মানুষের ওষুধ একমাত্র মানবদেহেই পরীক্ষিত হতে পারে; ইঁদুর, বিড়াল, গিনিপিগ, ঘোড়া, বানর কিংবা কোনো প্রাণীর ওপর নয়। ` তিনি তার এই বৈপ্লবিক চিকিৎসা পদ্ধতির নাম রাখলেন `হোমিওপ্যাথি`।

১৮১০ সালে প্রকাশ করেন অমর গ্রন্থ `অর্গানন অব মেডিসিন`। এ গ্রন্থের মাধ্যমে হ্যানিম্যান `হোমিওপ্যাথি` নামটি প্রকাশ করেন। অর্গাননের অর্থ হলো আরোগ্য সাধন। এ গ্রন্থে তিনি হোমিওপ্যাথির নীতিগুলোকে সূত্রবদ্ধ করেন। এতে রয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কিত ২৯১টি সূত্র। এটি এমন গ্রন্থবিশেষ যার মাধ্যমে দার্শনিক তত্ত্ব, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কারের নীতিমালার নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
 
১৮১১ সালে হ্যানিম্যান বিখ্যাত গ্রন্থ `মেটেরিয়া মেডিকা পিউরা` প্রথম খণ্ড প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে তিনি সুস্থ মানবশরীরে পরীক্ষিত প্রতিটি ওষুধের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। ১৮১৭ সালে তিনি `রেপাটারিয়াম` নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এতে তিনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ওষুধের বাছাই ও বিশেল্গষণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। ১৮১১-১৮২০ সাল পর্যন্ত তিনি লিপজিগে প্রকাশ্যভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চালিয়ে যান। বিভিন্ন ভাষায় বুৎপত্তির জন্য লিপজিগে তার সম্মান বর্ধিত হয়। কিন্তু পুনরায় অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের ষড়যন্ত্র রাজরোষে পতিত হন। ১৮১৯ সালে সর্বসাধারণ্যে প্রচারের জন্য `মেডিকেল ইনস্টিটিউট` নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। এরপর তিনি আনহ্যান্টিকিথেনে চলে যান। ১৮২১ সালে তিনি কিথেনের ইফারথ, অর্থাৎ কোটের কাউন্সিলর উপাধি পান। মূলত এ সময় থেকেই হোমিওপ্যাথিক জয়যাত্রা শুরু হয়।

source: banglanews24


0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
হোমিও চিকিত্সাবিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান

১০ এপ্রিল বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৫৫ সনে জার্মানীর অন্তর্গত স্যাকস্যানি প্রদেশের মিশন নগরীর পটুয়ার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সাশাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং এ্যালোপ্যাথি চিকিত্সা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিত্সা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিত্সার বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি এ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর সাইড এ্যাফেক্টের বিষয় দেখতে পান। এতে তিনি এলোপ্যাথিক চিকিত্সা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড এ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সার সূত্র আবিষ্কার হয়। পেরুভিয়ান কফি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা উদ্ভব হয়। সুস্থ মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা. স্যমুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত। এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি। এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিত্সা বিধান প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ১৭৯০ সালে মানবদেহে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। ডা. হ্যানিম্যান নিজের শরীরে প্রথম পরীক্ষা করলেন 'সিঙ্কোনা'। এক কথায় আমরা বলতে পারি-১৭৯০ সনে হোমিওপ্যাথির যাত্রা শুরু। হ্যানিম্যান নিজের শরীরে ১৩০টি ওষুধ প্রয়োগ করেন।

পৃথিবীর কনিষ্ঠতম চিকিত্সা পদ্ধতি হলো হোমিওপ্যাথি। ওষুধ পরীক্ষার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিত্সার নিয়ম-নীতি প্রকাশ করেন ১৮১০ সনে। অর্গানন নামে যার পরিচিতি চিকিত্সক মহলে। তার জীবনের শেষ পর্যায়ে অর্গানন ৬ষ্ঠ সংস্করণ সমাপ্ত করেন। বইটির আধুনিক ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে হ্যানিম্যান ফাউন্ডেশন, আমেরিকা থেকে। হোমিওপ্যাথির জন্ম জার্মানীতে, বিকাশ ফ্রান্সে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ব্রিটেনে ১৮০৫ সনে। সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতায় ভীষণভাবে আক্রান্ত আর সত্য চাপা দিতে অত্যন্ত পারদর্শী পশ্চিমা জগত্ যতদিন সম্ভব সম্রাট নেপোলিয়ান, মর্মাডিউক পিকথল, মরিস বোকাইলি, নীল আর্মস্ট্রংসহ আরো অনেক মনীষীর ইসলাম গ্রহণের সংবাদকে চাপা দিয়ে রেখেছিল। সত্য কোনদিনই হারিয়ে যায় না। কালের প্রবাহে কোন একদিন প্রকাশিত হয়ই। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের আবিষ্কর্তা ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ইসলাম গ্রহণের সংবাদটি চাপা পড়ে আছে। ড. হুদহুদ মোস্তাক এক নিবন্ধে লিখেছেন অনেক কথা ১৯৯৮ সালে লন্ডনে এক সেমিনারে ডা.মোস্তফার সাক্ষাত্ ঘটে এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে। তার নাম উইলিয়াম হ্যানিম্যান। বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানেরই এক উত্তর-পুরুষ তিনি। বিশ্বাসে ক্যাথলিক খ্রিস্টান। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান গবেষণার এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি আমৃত্যু ইসলামী বিশ্বাসেই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। যে কারণে তিনি নিজ জন্মভূমি, স্বজাতি, আত্মীয়-পরিজন ত্যাগ করে দ্বিতীয় স্ত্রী মাদাম ম্যালনীকে নিয়ে প্যারিসে হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মাদাম ম্যালনীও স্বামীর সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। হ্যানিম্যানের অনুসন্ধান স্পৃহা অত্যন্ত প্রবল ছিল। তিনি চিকিত্সা বিজ্ঞান সম্বন্ধে ব্যাপক জ্ঞান আহরণের জন্যে বহু ভাষা শিক্ষালাভ করেন। পুরাকালের বিভিন্ন সভ্যতার যুগে চিকিত্সা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা করতে গিয়ে ইসলামের স্বর্ণযুগের আবিষ্কার ও চিকিত্সা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞানলাভের জন্যে আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন তদুপরি, আরব বণিক ও পরিব্রাজকদের কাছ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের চিকিত্সা ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের ধর্ম সম্পর্কেও অবগত হন। আরবী ভাষায় দক্ষতার কারণে মহাগ্রন্থ আল কুরআনও তিনি অধ্যয়ন করেন। ক্রমে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। এক শুভক্ষণে তিনি ইসলামের কালেমা পাঠ করে মনে-প্রাণে মুসলমান হয়ে যান।

 লেখক : মহাসচিব, আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
স্যাক্সনিজার্মানির প্রদেশে মেসেন শহরে ১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মধ্য রাতের পর জন্ম গ্রহণ করেন। এজন্য ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে কোথাও কোথাও তার জন্ম তারিখ ১১ এপ্রিল বলে উল্লেখিত ও উদযাপিত হয়ে থাকে। তিনি ১৭৯৯ সালে ডক্টরেট অব মেডিসিন বা এম ডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২ টি বিয়ে করেন, প্রথম স্ত্রী হলো জোহনা হেনরিয়েটি লিওপোলডিনি কুসলার ও দ্বিতীয় স্ত্রী মেরী মেলানী ডি. [৩]হারভিলী । তিনি ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন। ১৮১০ সালে চিকিৎসা নিয়মাবলী গ্রন্থ অর্গানন অব রেসনাল হেলিং আর্ট (Organon der [৪]rationellen Heilkunde) জার্মানি ভাষায় প্রকাশ করেন পরবর্তীতে যা অর্গানন অব মেডিসিন নামে প্রকাশিত হয় অর্গানন গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ১৮১২ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর হতে ১৮২১ সাল পর্যন্ত লিপজিগ বিশ্বিবিদ্যালয়ে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে শিক্ষা দান করেন।। কথ্বেনে এসে সাফল্য পান। ১৮৩৫ সালের জুন মাসে জার্মানি ছেড়ে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৮৪৩ সালে সালে প্যারিসেই মৃত্যুবরণ করেন।।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

3 টি উত্তর
1 টি উত্তর
15 ফেব্রুয়ারি, 2021 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Hasan312
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
15 ফেব্রুয়ারি, 2022 "জীবনী" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
31 আগস্ট, 2021 "সাধারন জ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Mahin
1 টি উত্তর
24 সেপ্টেম্বর, 2019 "ইংরেজি সাহিত্য" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
24 সেপ্টেম্বর, 2019 "রাষ্ট্র বিজ্ঞান" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
24 সেপ্টেম্বর, 2019 "ভূমন্ডল ও সৌরজগৎ" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
23 সেপ্টেম্বর, 2019 "ইতিহাস" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Mona
1 টি উত্তর
23 সেপ্টেম্বর, 2019 "জ্যামিতি" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Mona

34,035 টি প্রশ্ন

32,981 টি উত্তর

1,573 টি মন্তব্য

3,207 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
26 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 26 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 13342
গতকাল ভিজিট : 32070
সর্বমোট ভিজিট : 42324751
  1. MuntasirMahmud

    247 পয়েন্ট

    49 টি উত্তর

    2 টি গ্রশ্ন

  2. Limon54

    85 পয়েন্ট

    16 টি উত্তর

    5 টি গ্রশ্ন

  3. TeddyAhsan

    71 পয়েন্ট

    4 টি উত্তর

    1 টি গ্রশ্ন

  4. TAKRIMISLAM

    68 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    18 টি গ্রশ্ন

  5. Jara

    53 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    3 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...