মাসিক চলাকালে বা এর পরে শরীরব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন হরমোনাল পরিবর্তন, পেশির টান, বা রক্তসঞ্চালনের অভাব। নিচে করণীয় বিষয়গুলো দেওয়া হলো:
---
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া:
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার (যেমন, পালং শাক, ডাল) এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান।
পানি ও তরল খাবার বেশি পান করুন।
ক্যাফেইন ও অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন।
৩. গরম সেঁক:
ব্যথার স্থানে গরম পানির ব্যাগ বা গরম তোয়ালে দিয়ে সেঁক দিন।
এটি রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে আরাম দেয়।
৪. ব্যায়াম বা হালকা স্ট্রেচিং:
হালকা যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করলে ব্যথা কমে।
যেমন, "চাইল্ড পোজ" বা "ক্যাট-কাউ পোজ"।
৫. পেইন রিলিফ মেডিসিন (প্রয়োজনে):
অতিরিক্ত ব্যথা হলে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে পারেন।
৬. হাইড্রেটেড থাকুন:
ডিহাইড্রেশন মাসল ক্র্যাম্প বা ব্যথা বাড়াতে পারে। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
৭. স্ট্রেস কমানো:
মানসিক চাপ শরীরের ব্যথা বাড়াতে পারে।
রিলাক্সেশন টেকনিক যেমন মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করুন।
---
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:
যদি ব্যথা খুব তীব্র হয় এবং স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয়।
ব্যথার সাথে জ্বর বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।