আক্ষরিক অর্থে অস্টিওপোরোসিস বলতে বোঝায় ছিদ্রযুক্ত হাড়। এতে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়, হাড়ের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্রমেই হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়। হাড়ের এই ক্ষয় সাধারণত নীরবে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে ঘটতে থাকে। সাধারণত প্রাথমিক ধাপে এর কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। অস্টিওপোরোসিসে কোমরের হাড়, মেরুদণ্ড ও হাতের কবজির হাড় সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর হয়ে থাকে।
কাদের হয় অস্টিওপোরোসিস:
বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের সাধারণত এ রোগটা হয়ে থাকে। যেসব বয়স্ক পুরুষ বহুদিন যাবত স্টেরয়েড ঔষুধ সেবন করেন তাদের এবং মহিলাদের মেনোপস হবার পর এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া যারা অলস জীবন যাপন করে, পরিশ্রম কম করে তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। আর যারা অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভুগে তাদের ও এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজ-পরবর্তী অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রতি তিনজন মহিলার একজন এবং প্রতি পাঁচ জন পুরুষের একজন এই অস্টিওপোরোসিসজনিত হাড় ভাঙার শিকার হয়।