34 বার দেখা হয়েছে
"আন্তর্জাতিক বিষয়" বিভাগে করেছেন
হিউম্যানিজমের মূল শিক্ষাগুলো কী কী? 

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

হিউম্যানিজমের মূল শিক্ষাগুলো হলোঃ- 

  1. মানুষ সৃষ্টির শুরুর দিকে তারা অনভিজ্ঞ এবং বাইরের দুনিয়ার ব্যাপারে ভীত ছিল। ফলে তারা কোনো আশ্রয়ের জায়গা খুঁজছিল। সেই সময়ে তারা নিজেদের মনের মধ্যে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যের ঊর্ধ্বে এক অদৃশ্য সত্তার আবিষ্কার করে, যার কল্পনা করে তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিত। এই ধারণাকৃত সত্তাকে তারা নিজেদের সৃষ্টিকর্তা মনে করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিকর্তা তৈরি করে সেগুলোর পূজা করতে থাকে। এভাবেই বিভিন্ন ধর্ম অস্তিত্বে আসে। কিন্তু ফরাসি বিপ্লব পর্যন্ত বিশাল সময়ে তারা এতটাই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হয়ে যায় যে, তাদেরকে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য এখন কোনো ধর্ম বা রবের প্রয়োজন নেই।
  2. মানুষ যদিও স্বাধীন হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু ধর্মের আবিষ্কারের পর তারা এর গোলামে পরিণত হয় এবং নিজেরাই নিজেদেরকে সৃষ্টিজীব হিসেবে কল্পনা করতে থাকে। অথচ মানুষের কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই এবং তারা মাখলুকও নয়। বরং সে হচ্ছে হিউম্যান, যে অন্য হিউম্যানের সাথে মিলে হিউম্যানিটি অর্থাৎ মানবতাকে গঠন করে। আর এখান থেকেই এই চিন্তাধারাকে হিউম্যানিজম বলা শুরু হয়।
  3. এখন যেহেতু মানুষ থেকে বড় কোনো সত্তা নেই, তাই তারা কারও অধীন বা আনুগত্যশীল নয়। বরং তারা এখন স্বাধীন, স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিজেই নিজের মালিক ও একজন স্বেচ্ছাচারী সত্তা। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের এখন হিউম্যান হিসেবে নিজ জীবনের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হয়ে গেছে। এখন সে কোনো ধর্মের আনুগত্যশীল নয় বা কোনো বাদশাহর প্রতি নত নয়। স্বাধীনতার এই অধিকারকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তার ওপর কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যাবে না। বরং সব হিউম্যান-চাই সে পুরুষ হোক বা নারী-যেকোনো রং, বর্ণ, জাতি ও রাষ্ট্র: এমনকি হোক যেকোনো ধর্মের; নিজ ইচ্ছাকে পূর্ণ করার ক্ষেত্রে সবাই সমান অধিকার পাবে। 
  4. সমস্ত মানুষ এখন যেহেতু স্বাধীন, তাই তার সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে সে কোনো বহিরাগত শক্তি বা নিজের অভ্যন্তরীণ কোনো শক্তির অনুগত নয়। তবে সামাজিক জীবনযাপনের জন্য এক হিউম্যান অপর হিউম্যানের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে একটি সমাজ গঠন করতে পারে। এই সামাজিক সমঝোতার অধীনে সমস্ত হিউম্যানের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকেই রাষ্ট্র বলা হয়, যা সকল হিউম্যানের সার্বিক স্বাধীনতা রক্ষার জিম্মাদারি গ্রহণ করে থাকে। যার ফলে সমস্ত হিউম্যান শুধু প্রশাসনের আকৃতি ধারণকারী এই সামাজিক ঐক্যের সামনে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে। 
  5. আজ পর্যন্ত লিখিত মানব ইতিহাস যেহেতু ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রভাবে প্রভাবান্বিত, তাই এখন নতুন আঙ্গিকে ইতিহাস লিপিবদ্ধ করতে হবে। যেখানে শুধু মানবসমাজের উন্নতি ও অগ্রগতিকে সামনে রেখে ঘটনাগুলো সাজানো হবে। প্রত্যেক সভ্যতার ইতিহাসে লক্ষণীয় বিষয় শুধু এটাই হবে যে, তারা হিউম্যানের উন্নতির জন্য কতটুকু চেষ্টা করেছে। সেই সভ্যতা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মানুষের চাহিদাকে কত উঁচু স্তর পর্যন্ত পূর্ণ করেছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি ফিরআওনের বংশধর মানবচাহিদাকে পূর্ণতা দিয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকেই পুরো মানবজাতির মধ্যে হিউম্যানের জন্য মহান হিরো মনে করা হবে এবং তাকে কোনোভাবেই অত্যাচারী শাসক হিসেবে গণ্য করা হবে না। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর

37,446 টি প্রশ্ন

36,776 টি উত্তর

1,801 টি মন্তব্য

3,885 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
15 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 15 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 6004
গতকাল ভিজিট : 32939
সর্বমোট ভিজিট : 58707723
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...