হাদিস ও ইসলামি গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে কয়েক প্রকারের মানুষকে কবরে কোনো প্রশ্ন করা হবে না, তাদের কাছে মুনকার-নাকির প্রশ্ন করবে না, বা প্রশ্নের প্রয়োজনই হবে না। আলেমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রধানত তিন শ্রেণির মানুষ এ ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত:
♦️ যাদেরকে কবরে প্রশ্ন করা হবে না
১. আল্লাহর পথে শহীদ (শহীদ ফি সাবিলিল্লাহ)
রাসুল ﷺ বলেছেন, শহীদের দেহ মাটি খায় না, এবং তাকে কবরের প্রশ্নোত্তর করা হয় না। কারণ শহীদ যখন আল্লাহর পথে জীবন দেয়, তার সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা তখনই সম্পন্ন হয়; তাই কবরের ফিতনা তার জন্য নেই।
২. শিশু (যারা বালেগ হয়নি)
যে ছেলে বা মেয়ে বালেগ হওয়ার আগে মারা যায়—
তাদের কোনো আমল-দায়িত্ব হয়নি, গুনাহ-সওয়াবের হিসাবও হয়নি। তাই তাদেরকেও কবরের মুনকার-নাকির প্রশ্ন করা হয় না।
৩. উম্মতের প্রতি আল্লাহর সত্যিকারের নেক বান্দা / নবী-রাসুলগণ
নবী-রাসুলগণ আল্লাহর ইলমপ্রাপ্ত, ভুল-ভ্রান্তি থেকে রক্ষা প্রাপ্ত। তাই তাদেরকেও কবরের প্রশ্নোত্তর করা হয় না—এ বিষয়ে বহু আলেমের মতামত এক।
♦️ কিছু আলেম আরো কয়েকজনের কথা উল্লেখ করেন, এগুলো কোরআন-হাদিসে সরাসরি নয়, বরং আলেমদের ব্যাখ্যার আলোকে -
★ যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ তাওয়াক্কুল রেখে সত্যিকার অর্থে ঈমান নিয়ে মারা যায়
★ যে ব্যক্তি মাথা ছিন্ন অবস্থায় শহীদ হয় (যেমন অন্যায়ভাবে নিহত)।
★ মৃত্যুর সময় কোরআন তিলাওয়াতরত ব্যক্তি (কিছু বর্ণনায় আছে, তবে শক্তিশালী হাদিস নয়)